শীঘ্রই উত্তরাধিকারীর নাম জানাতে হবে। প্রতীকী চিত্র
চাকরিজীবীদের অনেকেরই জানা থাকে না যে প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট থাকলে একটি বিমার সুবিধাও মেলে। কিন্তু অনেকেই সেই বিমার টাকা কে পাবেন, সেই উত্তরাধিকারীর নাম আগে থেকে জানিয়ে রাখেন না। কিন্তু এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের (ইপিএফও) নিয়ম অনুযায়ী, আগে থেকেই পিএফ সদস্যদের নমিনি বা উত্তরাধিকারীর নাম জানিয়ে রাখতে হয়। এর জন্য ছোটাছুটিও করতে হয় না। অনলাইনেই উত্তরাধিকারীর নাম যুক্ত করে দেওয়া যায় অ্যাকাউন্টের সঙ্গে। ইপিএফও অনেক আগেই চাকরিজীবীদের এই বিষয়ে সতর্ক করে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরাধিকারীর নাম জানাতে বলেছে।
শুধু উত্তরাধিকারীর নামই নয়, প্রভিডেন্ট ফান্ডের যাবতীয় সুবিধা পেতে হলে অবশ্যই ইউএএন নম্বরের সঙ্গে আধার নম্বর যুক্ত করতে হয়। এটা বাধ্যতামূলক বলে আগেই ইপিএফও জানিয়েছিল। গত ৩০ সেপ্টেম্বরকে সর্বশেষ দিন বলে ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। এর পরে তা বেড়ে প্রথমে ৩০ নভেম্বর ও পরে ৩১ ডিসেম্বর হয়। সুতরাং, যাঁরা এখনও এই দু’টি কাজ করেননি তাঁদের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই অনলাইনে আধার নম্বর সংযুক্তি এবং উত্তরাধিকারীর নাম নথিভুক্ত করা উচিত।
কোনও চাকরিজীবী প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা টাকা অবসরের সময়ে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যু হয়ে গেলে পরিবারের লোকেরা সেই টাকা পায়। একই সঙ্গে পেনশন ও বিমার টাকাও পরিবারের হাতে যায়। কিন্তু অনেকেই কার হাতে টাকা যাবে, সেটা আগে থাকতে জানান না। এর ফলে বিমার টাকা পেতে অনেক সময় সমস্যা হয়। এই কারণে ইপিএফও জানিয়েছে চাকরিজীবীরা স্ত্রী বা সন্তানদের নাম নথিভুক্ত করে দিন। একজন নয়, চাকরিজীবীরা চাইলে একাধিক উত্তরাধিকারীর নামও যুক্ত করতে পারেন।
প্রসঙ্গত ইপিএফও চাকরিজীবীদের যে বিমার সুবিধা দেয়, তার জন্য কোনও রকম অর্থ দিতে হয় না। কোনও কিস্তি ছাড়াই মেলে সর্বোচ্চ সাত লাখ টাকার বিমা। আগে এই বিমার পরিমাণ ছিল ছ’লাখ টাকা। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকেই তা সাত লাখ টাকা হয়। তবে এই বিমার জন্য আলাদা করে নথিভুক্ত হতে হয় না। আপনা থেকেই এই বিমা চালু হয়ে যায়। আর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চাকরিজীবীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি চলে যায় বিমার টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy