পার্লামেন্টের পরীক্ষায় পাশ করলেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী। তবে এখনও মসৃণ নয় ঋণ পাওয়ার রাস্তা। কারণ, নতুন ঋণ নিলে তা ফেরতের স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি মিললে তবেই গ্রিসকে ত্রাণ দেবে ইউরোপ। গ্রিস ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৮টি দেশই এ ব্যাপারে একমত।
সরকারি খরচ কমিয়ে, কর বাড়িয়ে আর্থিক সংস্কারের পথে হাঁটার প্রস্তাবে শনিবার সায় দিল গ্রিসের পার্লামেন্ট। এই শর্তেই গ্রিস অর্থনীতিকে বাঁচাতে আগামী তিন বছরের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউরোপীয় শীর্ষ ব্যাঙ্ক (ইসিবি) এবং আইএমফের কাছে ঋণ চাইবেন প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস। গ্রিসের প্রস্তাবে সায় দিতে ঋণদাতারা কতটা একমত হন, তার উপরই নির্ভর করছে তৃতীয় দফার আর্থিক ত্রাণ খাতে ৫৩৫০ কোটি ইউরো (৫৯০০ কোটি ডলার) সিপ্রাসের হাতে আসবে কি না। সেই সঙ্গেই তিনি ঋণের একাংশ মকুব করারও দাবি তুলবেন। ঋণদাতাদের বৈঠক ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর ব্রাসেল্সে।
সন্ধির ব্যাপারে বরাবরই আপত্তি তুলে আসছে এ পর্যন্ত গ্রিসের প্রধান ঋণদাতা (৬৮২০ কোটি ইউরো) জার্মানি। শনিবারও জার্মান অর্থমন্ত্রী ওল্ফগাং স্কেব্ল বলেন, ‘‘বৈঠকে সমঝোতায় পৌঁছনো অত্যন্ত কঠিন হবে।’’ সিপ্রাসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি বলেছেন, ক্ষমতায় আসার পরে গত কয়েক মাসে ঋণ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে কথা রাখেননি তিনি। ফলে তাঁদের আস্থা টলে গিয়েছে।