উদ্বোধনে মমতা। ছবি: আরিফ ইকবাল খান
সাতশো কোটির কারখানা উদ্বোধনের দিনে রাজ্যে আরও ৪২০ কোটি টাকা লগ্নির প্রতিশ্রুতি দিল এক্সাইড। এ জন্য গাড়ি ও শিল্পের জন্য ব্যাটারি প্রস্তুতকারক সংস্থাটিকে নতুন কারখানার কাছেই আরও ২৫ একর জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
সোমবার হলদিয়ায় এক্সাইডের নতুন ব্যাটারি কারখানার উদ্বোধন করেন মমতা। যেখানে মার্কিন সংস্থা ইস্ট পেন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির সঙ্গে প্রযুক্তির গাঁটছড়ায় উন্নত মানের ব্যাটারি তৈরি করতে ৭০০ কোটি টাকা ঢালছে রাজ্যের সংস্থাটি। তাদের দাবি, ওই কারখানায় ‘পাঞ্চড গ্রিড’ প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যাটারি গুণমানে হবে দেশের অন্যতম সেরা। মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, ‘‘এই ৭০০ কোটির পাঞ্চড গ্রিড ব্যাটারি প্রকল্প বাংলার কাছে নতুন বছরের উপহার।’’
সেই সঙ্গে সংস্থা এ দিন জানিয়েছে, শীঘ্রই রাজ্যে আরও ৪২০ কোটি টাকা ঢালবে তারা। এর ৩০০ কোটি ঢালা হবে এই কারখানাতেই। মোটরবাইকের ব্যাটারি তৈরির জন্য। আর ১২০ কোটি লগ্নি করা হবে একটি ‘স্মেল্টিং ইউনিট’ নির্মাণে। যেখানে পুরনো বা বাতিল ব্যাটারির সীসা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায়।
এক্সাইডের কারখানা উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে রাজ্যকে এ দিন লগ্নির আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ‘‘আগে বাংলায় কর্মদিবস নষ্ট হত। কিন্তু এখন তা শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে। জমি-ব্যাঙ্ক তৈরি করেছি। শিল্প স্থাপনের জন্য বাংলাই এখন সেরা গন্তব্য।’’
সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান রাজন বি রাহেজাও বলেন, ‘‘রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ও দেশের শিল্প-মানচিত্রে তাকে নতুন উচ্চতায় তুলতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সামিল হতে পেরে আমরা খুশি। হলদিয়ায় কারখানা গড়ার অন্যতম কারণ এখানকার ভাল কর্মসংস্কৃতি।’’
কাজের সুযোগ তৈরির জন্য তাঁর সরকার যে শিল্পে লগ্নি টানতে বদ্ধপরিকর, এ দিন বারবার তা স্পষ্ট করেন মমতা। বলেন, ‘‘গত বছর দু’টি শিল্প ধর্মঘট ডাকা হয়। কিন্তু শ্রমিকরা তা ব্যর্থ করেন। কর্মসংস্থানের জন্যই শিল্পকে বাঁচাতে হবে। প্রশাসন, স্থানীয় পুরসভা-সহ সকলকেই হলদিয়ার সংস্থাগুলিকে সহযোগিতা করতে হবে। শিল্প নিয়ে সস্তার রাজনীতি করা উচিত নয়।’’
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, হলদিয়ায় এক বছরে ১০ হাজার কোটি লগ্নি এসেছে। রেল ও বন্দরের যোগাযোগ হয়েছে। তাজপুরে হচ্ছে নতুন বন্দর। গোয়ার ধাঁচে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার হচ্ছে। দিঘার পর্যটন, হলদিয়া শিল্পাঞ্চল, তাজপুর বন্দর-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল এলাকা জুড়ে রাজ্যের উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে বলেও দাবি তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy