প্রতীকী চিত্র।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরে চলতি অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, এসঅ্যান্ডপি, মুডি’জ়, ইক্রা, স্টেট ব্যাঙ্ক। মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস-ও গত জুনে ১২.৮% থেকে কমিয়ে তা ১০% করেছিল। কিন্তু এ বার সেই ১০% অনুমান ফের ছেঁটে ৮.৭ শতাংশে নামিয়ে আনল তারা। তবে আগামী অর্থবর্ষে (২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩-এর মার্চ) আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ১০% করেছে। গত জুনে যা ৮.৫% হবে বলে মনে করেছিল সংস্থাটি।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে বার বার দাবি করছে মোদী সরকার। কিন্তু ফিচ ওই ‘দ্রত’ ঘুরে দাঁড়ানো নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, দ্বিতীয় দফার সংক্রমণে এতটাই ধাক্কা খেয়েছে ভারত যে, ঘুরে দাঁড়ানোর পথ থেকে না-সরলেও, ক্ষত সারতে অনেক দেরি হবে। যে কারণে চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির পূর্বাভাস আরও এক দফা কমিয়ে পরের বারে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সরকারের ঘাড়ে চেপে থাকা ধার, দুর্বল আর্থিক ক্ষেত্র, রাজকোষ ঘাটতি বৃদ্ধি এবং কাঠামোগত ক্ষেত্রে কিছু খামতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফিচ। অতিমারিকে এর জন্য দায়ী করে তাই দেশের ‘BBB-’ রেটিং পাল্টায়নি তারা। কোনও দেশের লগ্নি পাওয়ার যোগ্যতার নিরিখে যা একেবারে শেষ ধাপ। সরকারের ধার জিডিপির তুলনায় বেশি হওয়ায় দৃষ্টিভঙ্গিও রেখেছে নেতিবাচক। নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির অর্থ, রেটিং যে কোনও সময় কমে যাওয়ার আশঙ্কা। একই কারণে জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াকেও নেতিবাচক রেখেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy