Advertisement
০৫ মে ২০২৪
IMF

অবস্থা আরও খারাপ, আরও ছাঁটাই পূর্বাভাস    

গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, অর্থনীতিতে প্রাণ ফেরার লক্ষণ স্পষ্ট।

আইএমএফ।

আইএমএফ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ০৩:২৯
Share: Save:

অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে সরকারের দাবিতে জল ঢালল আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ)। বুধবার তারা জানাল, ২০২০ সালে ভারতের অর্থনীতি তলিয়ে যাবে ৪.৫%। যা তাদের পূর্বাভাসের নিরিখে এখনও পর্যন্ত সব থেকে খারাপ। একই দিনে মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংসও ২০২০-২১ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি ৫.৩% সঙ্কুচিত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। তা যদি সত্যি হয়, এটাই হবে ভারতের ইতিহাসে সর্বাধিক সঙ্কোচন।

গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, অর্থনীতিতে প্রাণ ফেরার লক্ষণ স্পষ্ট। বিদ্যুতের চাহিদা, কেনাকাটা সব বাড়ছে। গ্রামীণ অর্থনীতি থেকে শুরু করে অনলাইনে খুচরো বিক্রিবাটা— মুখ তুলছে সমস্ত। একই সুরে মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে দাবি করে, কারখানা উৎপাদন ও পরিষেবায় মে মাসে সঙ্কোচন হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা এপ্রিলের থেকে কম। জ্বালানি, বিদ্যুতের ব্যবহার, যাতায়াত, খুচরো আর্থিক লেনদেনের আর্থিক সূচকেও সেই লক্ষণ স্পষ্ট। আজও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে তাকে বৃদ্ধির পথে আরও এক ধাপ বলে বার্তা দেন মোদী।

কিন্তু এতটা আশাবাদী হতে নারাজ আইএমএফ। বরং তাদের মতে, এপ্রিলে যা ভাবা হয়েছিল, করোনার জেরে তার থেকেও বেশি ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি। পরের বছরে যতটা আশা করা হয়েছিল, বৃদ্ধির চাকায় গতি ফিরবে তার চেয়ে কম হারে। ফলে বিশ্বে ত্রিশের দশকের মহা-মন্দার পরে সব থেকে ভয়াবহ হবে বিশ্ব অর্থনীতির হাল। পৃথিবীর সব প্রান্তের সঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়বে ভারতের অর্থনীতিও। গত এপ্রিলে এ বছর ভারতের বৃদ্ধি ১.৯ শতাংশে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএমএফ। অর্থভান্ডারের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথের মতে, ভারতে প্রত্যাশার তুলনায় বেশি দিন ধরে চলা লকডাউন এবং অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ক্রমশ ক্ষীণ হওয়াই পূর্বাভাস এক ধাক্কায় এতটা কমিয়ে দেওয়ার অন্যতম কারণ।

আরও পড়ুন: নেট বাজারে কোন দেশের পণ্য, বিধি আনতে মতামত তলব

আর ইন্ডিয়া রেটিংসের দাবি, আগে থেকেই অর্থনীতি ঝিমোচ্ছিল। তার উপরে করোনা চাহিদা ও জোগানে যতটা দ্রুত এবং গভীর প্রভাব ফেলেছে, তার থেকে চলতি অর্থবর্ষে বেরোনো যাবে না। বিশেষত ধাক্কা খেয়েছে হোটেল, পর্যটন, বিমানের মতো শিল্প। তাদের মতে, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে যে চাহিদা বাড়ানো জরুরি হলেও, ঘাটতির কথা মাথায় রেখে হাত খুলে খরচের পথ নেই কেন্দ্রের। ভাটা বহাল থাকতে পারে বেসরকারি লগ্নিতেও। ফলে এ বছরটা খারাপই কাটবে। তবে পরের বছর কম ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে ও বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালে বৃদ্ধি মুখ তুলতে পারে বলে দাবি ইন্ডিয়া রেটিংসের। আইএমএফের-ও মত, আগামী বছর তা হতে পারে ৬%।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

IMF Economy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE