প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেছিলেন, ‘পরিকল্পিত লুঠ’। আর এ বার মোদী সরকারের নোটবন্দির নাটকীয় সিদ্ধান্তকে নির্মম বলে বর্ণনা করলেন প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন। দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্য ভাল করার রাস্তা খুঁজতে লম্বা সময় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে মন্ত্রণা জুগিয়েছেন যিনি!
সুব্রহ্মণ্যনের বই ‘অব কাউন্সেল: দ্য চ্যালেঞ্জেস অব মোদী-জেটলি ইকনমি’ প্রকাশিত হতে চলেছে শীঘ্রই। তার আগে বইটির কিছু অংশ প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। সেখানে তিনি মেনেছেন যে, ২০১৬ সালের নভেম্বরে নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিলের ঘোষণা অর্থনীতির উপরে জোরালো ধাক্কা ছিল। বিশেষত অসংগঠিত ক্ষেত্রে। এত দিন যা বলে আসছিলেন রঘুরাম রাজন, অমর্ত্য সেনের মতো খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদরা। এই একই অভিযোগ বারবার তুলেছেন মনমোহন সিংহ, পি চিদম্বরমের মতো প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীরাও। এ বার ‘ঘরের লোকের’ তোলা একই অভিযোগ তাই অস্বস্তিতে ফেলতে পারে কেন্দ্রকে।
ক্ষমতার অলিন্দে গুঞ্জন ছিল, অর্থমন্ত্রী ও উপদেষ্টা সুব্রহ্মণ্যনকে অন্ধকারে রেখেই না কি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই জল্পনা উস্কে দিয়ে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাতে নর্থ ব্লকে নিজের ঘরে বসে টিভির পর্দায় মোদীর সেই নাটকীয় বক্তৃতা শোনার স্মৃতি লিখেছেন সুব্রহ্মণ্যন। তাতে রাহুল গাঁধী অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন, নোট নাকচ নিয়ে এত অসন্তোষ থাকলে, কেন আগেই পদত্যাগ করেননি তিনি? ঠারেঠোরে একই কথা বলেন অমিত শাহও।
যে নোটবন্দি নিয়ে এত আক্রমণ, মানুষ তা সহজে মেনে নিলেন কী করে? নোটবন্দির পরেই উত্তরপ্রদেশে কী ভাবেই বা বিপুল ভোটে জিতে মসনদ দখল করল বিজেপি? সম্ভাব্য কারণ হিসেবে সুব্রহ্মণ্যন লিখেছেন, সম্ভবত ধনীদের বেশি কষ্ট পোহাতে হবে, এই আশায় তা মেনে নেন গরিবরা।
তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিষয়ে বইয়ে তাঁকে পাশে পেয়েছে কেন্দ্র। হবে না-ই বা কেন? শীর্ষ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ার ভাগের কথা তো আর্থিক সমীক্ষায় প্রথম তিনিই লিখেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy