ওয়াই ভি রেড্ডি
গত অর্থবর্ষে লোকসানের মুখ দেখেছে দেশের ২১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ১৯টিই। সব মিলিয়ে যার অঙ্ক প্রায় ৮৭,৩৫৭ কোটি টাকা। এই অবস্থায় সম্প্রতি কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ওয়াই ভি রেড্ডি। দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে মূলধন জোগানো নিয়ে অনিশ্চয়তা ও দেরিই অস্বস্তির প্রধান উৎস।’’
এই অর্থবর্ষে ব্যাঙ্কগুলিতে ৬৫ হাজার কোটি পুঁজি জোগানোর কথা কেন্দ্রের। তা গত ও চলতি অর্থবর্ষ মিলিয়ে মোট ২.১১ লক্ষ কোটি ঢালার যে পরিকল্পনা রয়েছে, তারই অঙ্গ। কিন্তু গত অর্থবর্ষেই ব্যাঙ্কগুলির মোট ক্ষতি কেন্দ্রের জোগানো মূলধনের (৯০,০০০ কোটি) কাছাকাছি।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক ও বিজয়া ব্যাঙ্ক ছাড়া আরও কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক লাভের মুখ দেখেনি। বাড়তে থাকা অনুৎপাদক সম্পদ খাতে সংস্থান ও কিছু ক্ষেত্রে জালিয়াতির জেরই যার জন্য দায়ী। এর মধ্যে নীরব মোদী ও তাঁর মামা মেহুল চোক্সীর প্রতারণার খেসারত দিয়ে সব থেকে বেশি নিট ক্ষতির বোঝা বইতে হয়েছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ককে। যার অঙ্ক ১২,২৮২.৮২ কোটি টাকা।
এই জালিয়াতি নিয়েও সরাসরি কেন্দ্রকে দোষারোপ করেন রেড্ডি। বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সিংহভাগের অংশীদার হওয়ার দরুন সতর্ক থাকতে হবে সরকারকেই। কারা পর্ষদে নিযুক্ত হচ্ছেন ও কী ভাবে ব্যাঙ্ক পরিচালনা হচ্ছে, তা দেখার দায়ও তাদের। রেড্ডির বার্তা, জালিয়াতিতে টাকা জলে যায় করদাতাদের। তাই কেন সেই কাণ্ড রোখা গেল না, তাঁদের সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে কেন্দ্র দায়বদ্ধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy