প্রতীকী ছবি।
এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের জিএসটি থেকে আয় প্রত্যাশার তুলনায় বেশ কম। এই পরিস্থিতিতে যে সমস্ত ব্যবসায়ী টানা ছ’মাস জিএসটি-র রিটার্ন দাখিল করবেন না, তাঁদের ই-ওয়ে বিল তৈরির উপরে বসতে চলেছে নিষেধাজ্ঞা। সরকারি সূত্রের খবর, আরও কড়া হাতে কর ফাঁকি রুখতে শীঘ্রই চালু হবে পণ্য সরবরাহের বৈদ্যুতিন বিল আটকে দেওয়ার এই ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে ৫০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের পণ্য চলাচল করলে লাগে ই-ওয়ে বিল। গত বছর ১ এপ্রিল চালু হয় এই ব্যবস্থা। পরে ১৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে তা চালু হয় রাজ্যের মধ্যে জিনিসপত্র পরিবহণের ক্ষেত্রেও। পরিবহণকারীদের ওই বিল দেখাতে হয় জিএসটি ইনস্পেক্টরকে।
এক সরকারি কর্তার দাবি, এই নিষেধাজ্ঞা চালুর জন্য নির্দিষ্ট একটি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা তৈরি করছে জিএসটি নেটওয়ার্ক (জিএসটিএন)। যেটি টানা দু’বার (অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৬ মাসের) রিটার্ন বাদ পড়ার বিষয়টি ধরতে পেরে বিল তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা বসানো নিশ্চিত করবে। তাঁর দাবি, ‘‘ব্যবস্থাটি তৈরি হলেই নতুন নিয়মের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে।’’ কর দফতরের কর্তাদের দাবি, কর ফাঁকি আটকাতে সাহায্য করবে এই পদক্ষেপ।
তথ্য বলছে, গত এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর— এই ন’মাসে জিএসটি ফাঁকি বা নিয়ম ভাঙার ৩,৬২৬টি ঘটনা ধরতে পেরেছেন কর দফতরের কর্তারা। ফাঁকির অঙ্ক ১৫,২৭৮.১৮ কোটি টাকা। তাঁদের মতে, এই রকম বিপুল ফাঁকি শক্ত হাতে রুখে রাজস্ব বাড়াতেই ব্যবসায়ীদের নিয়ম মানার ক্ষেত্রে আরও কড়াকড়ির প্রয়োজন। বিশেষত দেশে জিএসটি থেকে আয় যেখানে কম হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy