পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও সময়সীমা মেনে বাড়ালেও, ভারতের মানুষের স্বার্থ রক্ষায় হিসাব কষেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানালেন তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। আজ ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম দিনে মন্ত্রীর বার্তা, সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তাঁরা সরকার চালাচ্ছেন। যাঁদের দিনে তিন বার গ্রাসাচ্ছাদনের দায়ও সরকারের। সে কথা মাথায় রেখেই বাস্তবমুখী পদক্ষেপ করা হবে। ২০২৮-এর আগে ভারত ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হয়ে উঠবে বলেও দাবি তাঁর।
এ দিকে, চলতি বছরে মূল্যবৃদ্ধির ঝাঁঝ কিছুটা কমবে এবং তার জেরে অচিরেই আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশে সুদ মাথা নামাবে বলে আশায় বুক বাঁধছে গোটা বিশ্ব। সম্মেলনের মঞ্চ থেকে তাতে জল ঢাললেন আইএমএফের ফার্স্ট ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গীতা গোপীনাথ। দাবি করলেন, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে লড়াই এখনও শেষ হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি আগ্রাসী ভাবে সুদ কমাতে নামবে বলে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে বাজারে, তা দ্রুত পূরণ হবে বলেও মনে করেন না তিনি। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ভারতকে পেট্রল, ডিজ়েল, রান্নার গ্যাস-সহ যাবতীয় জ্বালানির ৮৫% আমদানি করতে হয়। যার খরচ বিপুল। দূষণের পাশাপাশি তা-ও কমাতে চাইছে দিল্লি। ফলে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির দায়বদ্ধতা কম নয়। তবে পুরীর বার্তা, তড়িঘড়ি এমন পদক্ষেপ করা যাবে না যা সমস্যা তৈরি করবে। কারণ জ্বালানি এবং অর্থনীতির সম্পর্ক গভীর। তাঁর কথায়, ‘‘২০৩০ পর্যন্ত যে যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, তা আমরা নির্দিষ্ট সময়ে পূরণ করব।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)