Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Industrial Park

Industrial park: সরকারি জমিতে শিল্প পার্ক, আহ্বান বেসরকারি

দফতরের বক্তব্য, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রকেও শামিল করতে পারলে শিল্প তালুকের মতো জরুরি পরিকাঠামো দ্রুত বাড়ানো যাবে।

শিল্প পার্ক গড়তে বেসরকারি ক্ষেত্রকে আহ্বান জানাল রাজ্য।

শিল্প পার্ক গড়তে বেসরকারি ক্ষেত্রকে আহ্বান জানাল রাজ্য। ফাইল চিত্র।

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২২ ০৮:১৩
Share: Save:

রাজ্যে শিল্পায়নের প্রসারে সার্বিক পরিকাঠামোর আওতায় একাধিক শিল্পকে জায়গা দিতে পার্ক (ইন্ডাস্ট্রিয়াল) তৈরির চল বহু দিনের। বাম আমলে জমি অধিগ্রহণ করে তা গড়া হলেও, পরে তৃণমূল সরকার নতুন করে জমি অধিগ্রহণের নীতি থেকে সরে আসে। তবে সরকারি জমিতে রাজ্যের উদ্যোগে শিল্প পার্ক গড়ার পাশাপাশি সরাসরি জমি কিনে বেসরকারি উদ্যোগে তা গড়ায় উৎসাহ দেয় তারা। বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য আনে বিশেষ আর্থিক সুবিধা প্রকল্পও (এসএআইপি)। কিন্তু সরকার না মানলেও সেই জমি কিনতে অনেক সময়েই হোঁচট খেত শিল্প মহল। এ বার বিভিন্ন জেলায় সরকারি জমিতে লিজ়ে ছোট-মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই) জন্য শিল্প পার্ক গড়তে বেসরকারি ক্ষেত্রকে আহ্বান জানাল রাজ্য। দাবি, এতে শিল্পের প্রসার ঘটবে।

লগ্নিতে আগ্রহী বড় শিল্পকে তাদের বিভিন্ন শিল্প পার্কে জমি দেয় শিল্পোন্নয়ন নিগম। বড় শিল্প নিজেরাও সরাসরি জমি কিনে লগ্নি করতে পারে। ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের বিভিন্ন শিল্প তালুকে জায়গা নেয় এমএসএমই-ও। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে ছোট শিল্পকে আলাদা গুরুত্ব দিয়েছে তৃণমূল সরকার। আগে ২০ একরে বেসরকারি উদ্যোগে শিল্প পার্ক গড়ায় সম্মতি দেওয়ার পরে সেই ন্যূনতম মাপকাঠি কমিয়ে পাঁচ একর করা হয়েছে।

এমএসএমই দফতর সূত্রের খবর, জেলাশাসকদের শিল্প গড়ার উপযোগী সরকারি জমি চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল। মোট ৪৩৯.৮৯ একর জমি চিহ্নিত হয়েছে। তালিকায় আছে বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, কালিম্পং, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহ ও শিলিগুড়ি। একটি পার্ক গড়তে ন্যূনতম পাঁচ একর জমি লিজ়ে নিতে হবে। আগ্রহপত্র চাওয়ার আগে বুধবার আগ্রহীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দফতরের কর্তারা।

দফতরের বক্তব্য, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রকেও শামিল করতে পারলে শিল্প তালুকের মতো জরুরি পরিকাঠামো দ্রুত বাড়ানো যাবে। এক কর্তা জানান, তিন বছরে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে কমপক্ষে ১০০টি পার্ক গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

ছোট শিল্পের সংগঠন ফসমির প্রেসিডেন্ট বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য ও ফ্যাকসির প্রেসিডেন্ট হিতাংশু গুহের মতে, সরকারি জমিতে শিল্প পার্ক গড়লে জমির বিষয়ে নিশ্চিত থাকা যাবে। তা ছাড়া নিজেরা জমি কিনে পার্ক বা কারখানা গড়তে হলে দূষণ সংক্রান্ত ছাড়পত্রের পাশাপাশি বিদ্যুৎ, জলের সংযোগে মতো নানা কাজে সংস্থাকে দৌড়োদৌড়ি করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা দ্রুত হওয়ার আশা।

বস্তুত, এসএআইপি-র অধীনে পার্ক গড়লে শর্তসাপেক্ষে আর্থিক সুবিধা মেলে। রাজ্য নিখরচায় সাব স্টেশন বসায়, প্রয়োজনে মূল রাস্তা থেকে পার্ক পর্যন্ত নির্দিষ্ট দূরত্বের সংযোগকারী রাস্তা গড়ে। তবে এই প্রকল্পে পার্ক গড়লে সেখানে ন্যূনতম কিছু এমএসএমই-কে জায়গা দেওয়ার শর্তও রয়েছে। যাতে একটি পার্কে একাধিক শিল্পের বিকাশ ঘটতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Industrial Park West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE