‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প নিয়ে পাঁচ বছরে বিস্তর ঢাক-ঢোল পিটিয়েছে মোদী সরকার। দ্রুততম বৃদ্ধির দেশের শিরোপা দখলে রাখার কথাও নাগাড়ে বুক বাজিয়ে বলে গিয়েছে তারা। তার কৃতিত্ব দাবি করেছে ভোট ময়দানেও। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যানেই ফের উঠে এল দেশে শিল্পের রং-চটা ছবি।
শুক্রবার পরিসংখ্যান দফতর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্চে শিল্প বৃদ্ধি নেমেছে শূন্যেরও ০.১% নীচে। অর্থাৎ, সরাসরি কমেছে শিল্পোৎপাদন। ২০১৮-১৯ সালেই ঝিমিয়ে পড়েছে শিল্প বৃদ্ধির হার (৩.৬%)। নেমেছে তিন বছরের মধ্যে সব চেয়ে নীচে। ভোট-বাজারে শিল্পের এই বেহাল দশা তাই একই সঙ্গে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে অনেকগুলি। যেমন—
পরিসংখ্যান বলছে, মার্চে কল- কারখানায় উৎপাদন কমেছে ০.৪%। অনেকের প্রশ্ন, কারখানার ছবি যদি এ রকম হয়, তবে কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে কোথায়? বিশেষত কৃষির বেহাল দশায় যেখানে জেরবার চাষিরা।
শিল্পের এই হাল নিয়ে আজ কেন্দ্রকে বিঁধেছে কংগ্রেস। বিরোধীদের প্রশ্ন, একই সঙ্গে কৃষি ও শিল্পের হাল যদি এমন হয়, তা হলে বৃদ্ধি চাঙ্গা থাকছে কোন ভোজবাজিতে? ফের উঠছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হিসেবের কারসাজির অভিযোগ।
সম্প্রতি পরিসংখ্যান মন্ত্রকেরই সমীক্ষায় উঠে এসেছিল, যে তথ্য ভাণ্ডারের উপরে নির্ভর করে জিডিপি হিসেব করা হয়, খোঁজ মিলছে না তাতে নাম থাকা ৩৬% সংস্থার। প্রশ্ন উঠেছিল, তা হলে তার ভিত্তিতে হিসেব হওয়া জিডিপি ঠিক হবে কী করে? এ দিন বিবৃতিতে কেন্দ্রের দাবি, আসলে ওই সমস্ত সংস্থাকে সমীক্ষার বাইরে রাখা হয়েছে। কিন্তু তার মানে তারা আর্থিক কর্মকাণ্ডের বাইরে নয়। ওই সমস্ত সংস্থার জেরে জিডিপি হিসেবে তেমন হেরফেরও হয়নি। বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, তা যদি ঠিকও হয়, শিল্পের এমন করুণ দশার ব্যাখ্যা অর্থনীতি নিয়ে বুক ঠোকা সরকারের কাছে আছে কি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy