প্রতীকী ছবি।
অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে এক মাস ধরে একের পর এক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যার চতুর্থ দফায় গত শুক্রবার দেশীয় সংস্থার কর্পোরেট কর অনেকটাই কমিয়েছেন তিনি। এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেও রবিবার শিল্প মহল স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল, অর্থনীতিতে শেষ কথা বলবে বাজারের চাহিদা। যা এখনও তলানিতে। অতএব এ নিয়েও ভাবা উচিত সরকারের।
নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্তের অবশ্য বক্তব্য, কর কমানোর ফলে সংস্থাগুলির হাতে বাড়তি নগদ থাকবে। চাহিদা বাড়াতে দাম কমিয়ে ক্রেতাদের উৎসাহিত করুক তারাই।
আজ মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে গোদরেজ গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান আদি গোদরেজের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের শীর্ষকর্তারা কর্পোরেট কর ছাঁটাইয়ের প্রশংসা করেছেন। তবে একই সঙ্গে বলেছেন অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে এ বার কেন্দ্রকে আলাদা ভাবে চাহিদা বাড়ানোর রাস্তা তৈরিতে জোর দিতে হবে। হিরানন্দানি গোষ্ঠীর কর্ণধার নিরঞ্জন হিরানন্দানি যেমন বলেন, কর্পোরেট কর ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত শুধু জোগানের সমস্যা মেটাবে। কিন্তু চাহিদার কথাও এ বার ভাবতে হবে।
মারুতি সুজুকির চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব অবশ্য চাঁছাছোলা ভাবেই জানিয়েছেন, এখন দেশের জিডিপিতে অবদান উৎপাদন শিল্পের মাত্র ৫%। তা অন্তত ১৫ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে। সে জন্য জোর দিতে হবে চাহিদায়। আর পিরামল গোষ্ঠীর কর্তা অজয় পিরামলের কথায়, ‘‘কেন্দ্র শিল্পের সমস্যাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু চাহিদা বাড়াতে আরও পদক্ষেপ জরুরি।’’
শুক্রবার কেন্দ্রের ঘোষণার পরে উৎসাহ ফিরেছে শিল্প মহলে। কিন্তু একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, কর কমানো তো হল। কিন্তু আসল সমস্যা তো নগদ ও চাহিদার অভাব। এই প্রক্ষিতেই কান্তের বক্তব্য, দাম কমিয়ে চাহিদা বাড়াতে হবে সংস্থাগুলিকে। সেই যুক্তি অবশ্য খারিজ করেছেন গোদরেজ। বলেছেন, ‘‘ক্রেতাদের উৎসাহ দেওয়ার মতো পদক্ষেপ করা যেতে পারে। তবে পণ্যের খুচরো দাম বেশি কমবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy