আগামী দু’বছরে ১০ হাজার মার্কিন কর্মী নেওয়ার কথা ঘোষণা করল ইনফোসিস। জানাল ৪টি উদ্ভাবন কেন্দ্র গড়ার সিদ্ধান্তও। বিতর্ক এড়িয়ে আমেরিকায় ব্যবসা বাড়াতেই সংস্থা এই পথে হাঁটছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট শিল্পমহল।
মার্কিন মুলুকে ভূমিপুত্রদের কাজের সুযোগ বাড়াতে তৎপর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সেই কারণেই এইচ১-বি ভিসার ‘অপব্যবহার’ করে আউটসোর্সিং বন্ধে আমেরিকায় ব্যবসা করা সব দেশের সংস্থাকে কড়া হুমকি দিয়েছে সেখানকার সরকার। চাপের মুখেই ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির এই পদক্ষেপ বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। প্রসঙ্গত, গত অর্থবর্ষে সংস্থার ১,০২০ কোটি ডলার আয়ের ৬০ শতাংশই এসেছে মার্কিন মুলুক থেকে।
উদ্ভাবন কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি খুলবে অগস্টে, মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের নিজের প্রদেশ ইন্ডিয়ানায়। সেখানে কৃত্রিম মেধা এবং রোবটের মতো বিষয়ে কাজ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইনফোসিস। আর্থিক পরিষেবা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুতের মতো ক্ষেত্রের গ্রাহকদের সঙ্গে কাজ করবে এই কেন্দ্র। অন্য তিন কেন্দ্রের জায়গা শীঘ্রই ঠিক করা হবে বলে মঙ্গলবার জানান সংস্থার সিইও বিশাল সিক্কা। এই গ্রীষ্মে আমেরিকার বিভিন্ন স্কুলের ১,০০০ শিক্ষককে প্রশিক্ষণও দেবে ইনফোসিস ফাউন্ডেশন ইউএসএ।
সিক্কা বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ইন্ডিয়ানার কেন্দ্রে প্রায় ২,০০০ মার্কিন কর্মী নিয়োগের আশা করছেন তাঁরা। তবে আমেরিকার ভিসা নীতি পরিবর্তনই তাঁদের এই উদ্যোগের একমাত্র কারণ নয় বলে দাবি সিক্কার। তিনি বলেন, গত তিন বছর ধরেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম মেধা এবং রোবটের ব্যবহার বাড়ছে। আগামী দিনে বহু চিরাচরিত পরিষেবাও স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাবে। সে জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে এখন থেকেই কর্মী বাছতে হবে দক্ষতার মাপকাঠিতে।
ভিসা নিয়ে কড়াকড়ির আঁচ করে আগে থেকেই ব্যবসার কৌশল বদলাতে শুরু করেছে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি। তারা নিয়োগ বাড়াচ্ছে মার্কিন কলেজ-ক্যাম্পাস থেকেও। এ বার সেই পথেই হাঁটছে ইনফোসিস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy