এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ)-এ প্রাপ্য সুদ যে করযোগ্য, তা এত দিন জানতেন না অনেকেই। এ বার তা স্পষ্ট করল ইনকাম ট্যাক্স অ্যাপেলেট ট্রাইবুনাল (আইটিএটি)। সম্প্রতি একটি মামলার রায় জানাতে গিয়ে আইটিএটি-র বেঙ্গালুরু বেঞ্চ জানিয়েছে, চাকরি ছাড়লেও ইপিএফ-এর জমা টাকার সুদের উপর দিতে হবে আয়কর।
চাকরি ছাড়ার পর বা অবসরের পর অনেকেরই ইপিএফ অ্যাকাউন্ট চালু থাকে। অ্যাকাউন্ট থেকে পুরো টাকা তুলে নেওয়া, তা ট্রান্সফার করা বা অন্য কোনও সংস্থায় চাকরি মেলার আগে পর্যন্ত সেই জমা টাকায় সুদও মেলে। পাশাপাশি, কোনও ব্যক্তি ৫৫ বছর বয়সের পর অবসর নেওয়ার পর ওই অ্যাকাউন্টে টাকা রেখে দিলে বা তা ট্রান্সফার না করলে অবসরের দিন থেকে তিন বছর পর ওই অ্যাকাউন্টে আর সুদ মিলবে না। তিন বছর পর ওই অ্যাকাউন্ট ‘বন্ধ’ বলে ধরে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
১০ দিন ধরে কিশোরীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার তার বন্ধু-সহ ৪
বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে মামলা শোভনের
বলিউডের এক সময়ের এই হট নায়িকার দিন কাটে আশ্রমে
এই নিয়মের গেরোয় পড়েই বেঙ্গালুরুর এক সংস্থার এক কর্মীকে বেশ বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। ওই সফ্টওয়্যার সংস্থায় ২৬ বছর কাজ করার পর ২০০২ সালের ১ এপ্রিল অবসর নেন তিনি। সে সময় তাঁর ইপিএফ অ্যাকাউন্টে ছিল ৩৭ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। ন’বছর পর ১১ এপ্রিল ২০১১-তে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে পুরো টাকা তোলার সময় তিনি ৮৭ লক্ষ টাকা পান। এর মধ্যে সুদ ছিল ৪৪ লক্ষ ৭ হাজার টাকা। ওই ৮৭ লক্ষ টাকায় তিনি আয়কর ছাড় পাবেন বলেই ভেবেছিলেন। তবে তা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আইটিএটি-এর বেঙ্গালুরু বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলার রায়েই বেঞ্চ জানায়, ওই ব্যক্তির প্রাপ্ত ৮৭ লক্ষ টাকা করবিহীন নয়।
এ বিষয়ে এক আয়কর বিশেষজ্ঞ বলেন, “চাকরি ছাড়ার পর বা অবসরের পর বহু মানুষই ইপিএফ অ্যাকাউন্ট চালু রাখেন। তাতে সুদও পান তিনি। তবে এর সঙ্গে যে করের বোঝা চেপে থাকে সে বিষয়ে অনেকেই ভাল ভাবে জানেন না।” করদাতাদের অধিকাংশই ভাবতেন, ইপিএফ অ্যাকাউন্টের সুদ থেকে যে আয় হয় তাতে কর দিতে হয় না। এ কথা যে একেবারেই সঠিক নয়, তা জানিয়েছে আইটিএটি-এর বেঙ্গালুরু বেঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy