ফাইল চিত্র।
অবশেষে একটি ভাল সপ্তাহ পেলেন লগ্নিকারীরা। আগের ছ’টি লেনদেনে টানা বেড়ে সেনসেক্স ফের পা রাখল ৩৯ হাজারের ঘরে। দাঁড়াল ৩৯,২৯৮ অঙ্কে। যা তিন সপ্তাহে সর্বোচ্চ। সাময়িক স্বস্তি মিলল শেয়ার ও ফান্ডে লগ্নিকারীর। উত্থানের অন্যতম কারণ, ব্রেক্সিটের পথ কিছুটা প্রশস্ত হওয়া। ফলে আবার শেয়ার কেনা শুরু করেছে বিদেশি আর্থিক লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। উত্থানে জ্বালানি জুগিয়েছে কিছু সংস্থার ভাল আর্থিক ফল ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের আরও পদক্ষেপের আশ্বাসও।
তবে উদ্বেগের মেঘ কাটেনি। কারণ, বাজার এতটা উঠেছে দেশীয় অর্থনীতির তেমন উন্নতি না হওয়া সত্ত্বেও। এবং আরও কিছু খারাপ খবর পাওয়ার পরেও। যেমন, গাড়ি-বাড়ি বিক্রি বাড়ার লক্ষণ নেই। চাহিদায় ঘাটতি রয়ে গিয়েছে আরও কিছু শিল্পে। ছাঁটাই হচ্ছে বহু কারখানায়। কমছে রফতানি। অগস্টে ৬% কমার পরে সেপ্টেম্বরেও তা কমেছে ৬.৬%। ফলে অনেকেরই আশঙ্কা, এই উত্থান সাময়িক। হঠাৎ কোনও ভাল খবরের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। তাই বাজার চাঙ্গা থাকবে, তা বলা যাচ্ছে না। অবশ্য এই উত্থানের সুযোগে লগ্নিকারীরা ভাল দাম পেলে কিছু শেয়ার বেচে লাভ ঘরে তুলতে পারেন। পরে দাম পড়লে ওই শেয়ার ফের কেনা যাবে।
এ দিকে, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের একত্রিত লাভ ১১.৫% বেড়েছে। এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা বেড়েছে ২৭%। হিন্দুস্তান লিভারের বেড়েছে ২১.২%। শেয়ার দরে এই সব ফলাফলের ভাল প্রভাব পড়তে পারে বলে আশা।
এখন বাজার
• টানা ছ’টি লেনদেনে সেনসেক্স বেড়েছে মোট ১৪১৭ পয়েন্ট।
• সূচক আবার ঢুকে পড়েছে ৩৯ হাজারের ঘরে।
• শেয়ারের দাম বাড়ায় মাথা তুলেছে ইকুইটি নির্ভর মিউচুয়াল ফান্ডের ন্যাভও।
উত্থানের কারণ
• ব্রেক্সিট (ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া) চুক্তি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মধ্যে কিছুটা সমঝোতার ইঙ্গিত।
• দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বিভিন্ন সংস্থার প্রকাশিত আর্থিক ফল এখনও পর্যন্ত মোটামুটি ভাল হওয়া। যার মধ্যে আছে ভোগ্যপণ্য সংস্থা হিন্দুস্তান লিভারও।
• অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে অগস্ট থেকে একাধিক ঘোষণার পরে, অর্থমন্ত্রীর চলতি অর্থবর্ষে আরও কিছু পদক্ষেপের ইঙ্গিত।
• কর্পোরেট কর কমার পরে এ বার ব্যক্তিগত আয়কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে বাড়তে থাকা জল্পনা।
• ভারতের শেয়ার বাজারে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলির লগ্নি ফিরে আসা।
বহাল উদ্বেগও
• দেশে গাড়ি ও বাড়ির বিক্রি বাড়ার লক্ষণ নেই।
• চাহিদায় ভাটা স্পষ্ট অন্যান্য কিছু শিল্পেও।
• টানা দু’মাস ধরে কমে চলেছে রফতানি।
• কর্মী ছাঁটাই বেড়েছে।
• চাহিদা বাড়ানোর নানা পদক্ষেপে সরকারের খরচ বাড়লেও, সেপ্টেম্বরে জিএসটি থেকে আয় ১৯ মাসের সবচেয়ে নীচে।
(মতামত ব্যক্তিগত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy