শেয়ার বিক্রি করে ৫,৩২০ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনার কথা জানাল কোটাক মহীন্দ্রা ব্যাঙ্ক।
কিছু দিন ধরেই জল্পনা চলছে যে, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ককে কিনে নিতে চাইছে কোটাক। বৃহস্পতিবার এই বিপুল তহবিল সংগ্রহের ঘোষণা সেই জল্পনাকেই আর এক প্রস্ত উস্কে দিয়েছে। কারণ কোটাক জানিয়েছে, অন্য কিছু ব্যবসায়িক পরিকল্পনা রূপায়ণের পাশাপাশি অধিগ্রহণের জন্যও ওই টাকা ঢালতে চায় তারা। যদিও কাকে কেনার কথা ভাবা হচ্ছে, সে ব্যাপারে এ দিন কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আচমকা এত বেশি তহবিল জোগাড়ের উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। হতে পারে অ্যাক্সিস হাতে নেওয়ার আগাম প্রস্তুতিও। বাজারের এই সব ইঙ্গিতকে অবশ্য ‘ভিত্তিহীন জল্পনা’ তকমা দিয়ে উড়িয়েছে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক।
তবে সত্যি যদি অ্যাক্সিস-কে কিনতে এগোয় কোটাক, তা হলে প্রথমেই লাগবে কেন্দ্রের সিলমোহর। কারণ ওই সংস্থায় রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থাগুলি এবং সরকারি সংস্থার প্রায় ৩০% অংশীদারি রয়েছে।
ব্যবসা বাড়াতে
পরিকল্পনা
• ৬.২০ কোটি পর্যন্ত শেয়ার বেচবে কোটাক মহীন্দ্রা ব্যাঙ্ক
• তুলবে ৫,৩২০ কোটি
• খরচ করবে মূলত অধিগ্রহণে
ইঙ্গিত
• অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ককে কিনতে
চায় কোটাক
• প্রয়োজন কেন্দ্রের সিলমোহর
• জল্পনা, বলছে অ্যাক্সিস
এ দিন কোটাক মহীন্দ্রা ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, সংস্থার ৬.২০ কোটি পর্যন্ত শেয়ার বিক্রি করতে সায় দিয়েছে পরিচালন পর্ষদ। বর্তমান বাজার দরে যা বেচে মোট ৫,৩২০ কোটি তুলতে চায় তারা। শেয়ার বেচা হবে রাইটস ইস্যু (বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার বিক্রি), পাবলিক ইস্যু (বাজারে শেয়ার ছাড়া), প্রাইভেট প্লেসমেন্ট (বেসরকারি লগ্নিকারীদের শেয়ার বিক্রি) ও কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনাল প্লেসমেন্ট (লগ্নিকারী সংস্থাকে বিক্রি) মারফত। এই সিদ্ধান্তে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেওয়া অবশ্য বাকি।
বুধবার কোটাক মহীন্দ্রার চিফ এগ্জিকিউটিভ উদয় কোটাক জানিয়েছিলেন, অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিশেষ কোনও তথ্য জানানোর মতো কিছু ঘটেনি। তবে ব্যবসা বাড়ানোর লক্ষ্যে সব দিকই যে ব্যাঙ্কটি খতিয়ে দেখছে, তা স্পষ্ট বলেন তিনি। এ দিন শেয়ার বেচার পরিকল্পনার কথা জানাতে গিয়ে কোটাকের দাবি, ‘‘এই তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে তাদের ব্যবসা আরও আঁটোসাঁটো করার সুযোগ নিতে।’’ সে ক্ষেত্রে অধিগ্রহণ ও কিছু ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত রূপায়ণের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থার অনুৎপাদক সম্পদ কেনাকেও এই তহবিল সংগ্রহের কারণ হিসেবে দেখিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৫ সালেই আইএনজি বৈশ্য ব্যাঙ্ককে কিনেছে কোটাক মহীন্দ্রা। প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকায় হয় হাতবদল। এখনও পর্যন্ত যা ভারতের ব্যাঙ্কিং শিল্পে সব থেকে বড় সংযুক্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy