কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) টাকায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার সুবিধার কথা এ বার সংসদে জানাল কেন্দ্র।
বুধবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে শ্রমমন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয় জানান, পিএফের প্রায় ৪ কোটি সদস্যের সামনে এই আবাসন প্রকল্পের সুবিধার দরজা খুলে দিতে তাতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা হবে। এ কথা অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন পিএফ কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রীর দাবি, বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনতে নিজের তহবিলের ৯০% পর্যন্ত টাকা তুলে নেওয়া যাবে। বাড়ি কিনতে শুরুতে প্রয়োজন হওয়া থোক টাকা (ডাউনপেমেন্ট) তো মেটানো যাবেই, দেওয়া যাবে মাসিক কিস্তিও (ইএমআই)। যে সুবিধা আগে ছিল না।
তবে একা বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনতে গেলে এই সুবিধা মিলবে না। অন্তত ১০ জন মিলে তৈরি করতে হবে একটি সমবায় বা আবাসন সমিতি। এর আগে পিএফ কর্তৃপক্ষও জানিয়েছিলেন, চাকরিতে থাকাকালীন এই প্রকল্পে যুক্ত হতে হবে। সেই সঙ্গে সামিল হতে হবে নিয়োগকারীকেও। তারপরে প্রোমোটার ও ঋণের জন্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে সমিতি।
প্রকল্পে পিএফ দফতরের নিজস্ব তহবিল থেকে কোনও খরচ হবে না। কোনও ঋণও দিচ্ছে না তারা। গ্রাহকরা নিজেদের পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা টাকা থেকে মাসিক কিস্তি ও ডাউনপেমেন্ট মেটানোর সুবিধা পাবেন। ওই টাকা পিএফ অ্যাকাউন্টে আর ফেরতও দিতে হবে না তাঁদের।
এখন বাড়ি, জমি বা ফ্ল্যাট কিনতে পিএফ সদস্যরা নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে আগাম টাকা নিতে পারেন। তা ফেরতও দিতে হয় না। শুধু অবসরের সময়ে ওই টাকা বাদে বাকিটুকু সুদ সমেত ফেরত পান। কিন্তু গৃহঋণের মাসিক কিস্তি মেটানোর সুবিধা ইপিএফে ছিল না। এখন তা-ও চালু হল। পিএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, এই আবাসন প্রকল্পে সামিল হলে, ব্যাঙ্কে তাঁদের ঋণ শোধের ক্ষমতার শংসাপত্র দেবে পিএফ দফতরই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy