বিজয় মাল্যের সংস্থা ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজের হাতে থাকাকালীন ইউনাইটেড স্পিরিটস (ইউএসএল) থেকে বেআইনি ভাবে ১,২২৫.৩ কোটি টাকা সরানো হয়েছে বলে আগেই অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ রবিবার অস্বীকার করলেন মাল্য।
ইউএ়সএলের নিজস্ব তদন্তেই টাকা সরানোর বিষয়টি নজরে এসেছে বলে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে সংস্থা। এই লেনদেনে যুক্ত রয়েছে মাল্যের বন্ধ থাকা বিমান সংস্থা কিংগ্ফিশার এয়ারলাইন্স এবং বিদেশে তাঁর বিভিন্ন সংস্থা ও ফর্মুলা ওয়ান দল। রবিবার এক বিবৃতিতে তাঁর দাবি, সব লেনদেনই আইন মেনে এবং পরিচালন পর্ষদ, শেয়ারহোল্ডার ও সংস্থার অডিটরদের অনুমতি নিয়ে করা হয়েছে। ইউএসএল এখন যে-অভিযোগ করছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
২০১৩ সালে ইউএসএল হাতে নেওয়ার সময়েই ডিয়াজিও সব দিক খতিয়ে দেখেছিল বলেও বিবৃতিতে দাবি করেছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং যে-তদন্ত করেছে, তার কোনও বিস্তারিত তথ্য তিনি পাননি বলেও জানিয়েছেন মাল্য। তাঁর অভিযোগ, আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগও তাঁকে দেওয়া হয়নি।
এ দিকে, টাকা নয়ছয়ের বিষয়টি সামনে আসার পরে দেশে মাল্যের বিরুদ্ধে তদন্ত আরও জোরদার করার কথা জানিয়েছে সেবি। ইতিমধ্যেই তাঁর বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক লেনদেন নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এই শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক। এগুলিতে বেআইনি ভাবে টাকা সরানো হয়েছে কি না, তা-ই খতিয়ে দেখছে তারা। পাশাপাশি, দেখা হচ্ছে সংস্থা পরিচালনায় প্রোমোটারদের ভুমিকা। তদন্তের আওতায় রয়েছেন মাল্যের ঘনিষ্ঠ লোকজন, সংস্থার উচ্চপদস্থ ব্যক্তি এবং অডিটররাও।
নিজেদের তদন্তের পাশাপাশি, এ বার সেই সংক্রান্ত তদন্তে কেন্দ্রের কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রের আওতায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক অপরাধ অনুসন্ধান দফতর (এসএফআইও)-কেও অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানিয়েছে সেবি। ইতিমধ্যেই মাল্যের বিভিন্ন সংস্থার ব্যাঙ্কঋণের তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে এসএফআইও। এর সঙ্গেই, বিদেশে কোনও সংস্থায় টাকা পাঠানো হয়েছে কি না, তা দেখতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে সেবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy