Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নিজ ভূমি গুজরাতেই প্রতিবাদের মুখে মোদী

রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ওএনজিসি-র কর্মীদের ক্ষোভ মূলত দু’টি কারণে কেন্দ্রের কাছে অস্বস্তির। প্রথমত, ক্ষোভের কেন্দ্রস্থল খোদ প্রধানমন্ত্রীর জেলা।

প্রেমাংশু চৌধুরী
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:১২
Share: Save:

অনাদায়ি ঋণে ডুবে থাকা আইডিবিআই ব্যাঙ্ককে উদ্ধার করতে এলআইসিকে মাঠে নামানোয় কেন্দ্রের উপরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন জীবনবিমা নিগমের কর্মীরা। এ বার প্রায় একই কারণে ক্ষোভ ছড়াল ওএনজিসির কর্মীদের মধ্যে। প্রতিবাদের আওয়াজ উঠল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের জেলা মেহসানা থেকে।
গুজরাতের ওএনজিসি কর্মী সংগঠন ওএনজিসি এমপ্লয়িজ মজদুর সভা গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অভিযোগ তুলেছে, সংস্থার সিদ্ধান্তে সরকার নাক গলাচ্ছে। ফলে লাভজনক সংস্থা থেকে দেনাগ্রস্তের তালিকায় ঢুকে পড়ছে ওএনজিসি। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রকে সংস্থার পরিচালন পর্ষদের ডিরেক্টর পদে বসানোর উদাহরণ টেনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ আর তাডভির যুক্তি, এ থেকেই ওএনজিসি-র সিদ্ধান্ত ও খরচে সরকারের নাক গলানোর চেষ্টা স্পষ্ট। কারণ, সম্বিত পাত্রের এমনিতে ওই পদের যোগ্যতাই নেই।
গুজরাতের মেহসানা, বরোদা, ক্যাম্বে ও রাজস্থানের যোধপুরের কয়েক হাজার কর্মী এমপ্লয়িজ মজদুর সভার সদস্য। সংগঠনের সদর দফতর মেহসানাতেই। তাদের প্রশ্ন, ২০১৬ সালে কেন ওএনজিসিকে কৃষ্ণা-গোদাবরী অববাহিকায় ৮,০০০ কোটি টাকা খরচ করিয়ে গুজরাত স্টেট পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের গ্যাসের খনি কিনতে বাধ্য করা হয়েছিল? ওই খনিতে ১০ বছরে ১৯,৫৭৬ কোটি খরচ করেও বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করা যায়নি। যে সংস্থার নগদের অভাব ছিল না, তাকে এখন কর্মীদের বেতন-ভাতা দিতে ধার করতে হচ্ছে। আটকে বেতন সংশোধন।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ওএনজিসি-র কর্মীদের ক্ষোভ মূলত দু’টি কারণে কেন্দ্রের কাছে অস্বস্তির। প্রথমত, ক্ষোভের কেন্দ্রস্থল খোদ প্রধানমন্ত্রীর জেলা। দ্বিতীয়ত, ক্ষমতায় এসে ‘মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্ন্যান্স’-এর বার্তা শুনিয়েছিল মোদী সরকার। দাবি করেছিল শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ না করার। কিন্তু এ বার সেই সরকারি হস্তক্ষেপের দাবিতেই ক্ষোভ ছড়াচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মীদের মধ্যে।

অভিযোগ

• কেন্দ্র ওএনজিসি-র সিদ্ধান্তে নাক গলাচ্ছে।

• খর্ব হয়েছে সংস্থার পদাধিকারীদের স্বাধীনতা।

• কেনানো হয়েছে হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের অংশীদারি।

• যার ফলে এক বছরে দ্বিগুণ হয়েছে ওএনজিসি-র দেনা।

• যে সব গ্যাসের খনি ওএনজিসি-কে দেওয়া হত, তা এখন দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি সংস্থাকে।

কর্মীদের দাবি

• নির্দেশ দেওয়া হোক, তিন মাস যেন কোনও মন্ত্রক ওএনজিসি-র কাজে নাক না গলায়।

আরও পড়ুন: সব রাজ্যে প্রচার করুন বাংলার পরিস্থিতির কথা: দিল্লিতে বার্তা অমিত শাহের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Gujarat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE