Advertisement
E-Paper

ভোটের আগে কর কমানোর আশ্বাস মোদীর

ভাঁড়ারের অবস্থা করুণ। কিন্তু ভোটে জিততে আশা জাগানো ছাড়া উপায় নেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৪৩

ভাঁড়ারের অবস্থা করুণ। কিন্তু ভোটে জিততে আশা জাগানো ছাড়া উপায় নেই।

লোকসভা ভোটের আগে আমজনতার মন জিততে সাধারণ মানুষের রোজকার ব্যবহারের পণ্যে তাই জিএসটি কমানোর স্বপ্ন দেখালেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, ‘‘৯৯% পণ্য, বিশেষত সাধারণ মানুষের ব্যবহারের প্রায় সব পণ্যেই জিএসটি-র হার ১৮% বা তার নীচে কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার।’’

চলতি সপ্তাহের শেষেই জিএসটি পরিষদের বৈঠক। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই আশা তৈরি হয়েছে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রক সূত্র বলছে, সে গুড়ে বালি। জিএসটি থেকে আয় লক্ষ্যমাত্রা ছোঁবে কি না, তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। ফলে এই মূহুর্তে খুব বেশি পণ্যে জিএসটি কমানো মুশকিল। শুধু কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক নয়। রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরাও জিএসটি থেকে আয় নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। জিএসটি-র হার কমলে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যেরও আয় কমে যায়। নির্দিষ্ট পরিমাণে রাজ্যগুলির রাজস্ব আয় বৃদ্ধি না হলে কেন্দ্রকেই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ফলে দু’দিক থেকেই বোঝা চাপে কেন্দ্রের কোষাগারে।

অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, কম্পিউটারের এলইডি মনিটর, মোবাইলের পাওয়ার ব্যাঙ্কের মতো পণ্যে জিএসটি-র হার কমতে পারে। থার্ড পার্টি গাড়ির বিমাতেও তার হার ১৮% থেকে কমিয়ে ৫% বা শূন্যে নামিয়ে আনা হতে পারে। আমজনতা থেকে শিল্পমহল, বিশেষত আবাসন ক্ষেত্রের দাবি ছিল, সিমেন্টের উপর জিএসটি কমানো হোক। কারণ সিমেন্টে ২৮% জিএসটি বসে।

শিল্পমহলের যুক্তি, পরিবেশ বা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর ও বিলাসবহুল পণ্যেই ২৮% হারে জিএসটি বসার কথা। সিমেন্ট এর কোনওটাই নয়। তাই সিমেন্টে জিএসটি কমিয়ে অন্তত ১৮% করা হোক। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, সিমেন্টে জিএসটি কমানো নিয়ে পরিষদের বৈঠকে অবশ্যই আলোচনা হবে। কিন্তু এই মূহুর্তে সিমেন্টে করের হার কমানো হলে ৭ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সিমেন্ট-সহ এখন মোট ৩৫টি পণ্যে ২৮ শতাংশর সর্বোচ্চ হারে জিএসটি আদায় হয়। যার মধ্যে গাড়ির যন্ত্রাংশ, টায়ারও রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রক কর্তাদের যুক্তি, জিএসটি থেকে চলতি অর্থ বছরে ১৩.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্য পূরণ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

জিএসটি-র রূপায়ণ নিয়ে বিরোধী দলের অর্থমন্ত্রীরা আগেই সরব ছিলেন। আজ পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ফের অভিযোগ তুলেছেন, জিএসটি-র চালু হওয়ার পরে হাওয়ালা লেনদেন বাড়ছে।

Narendra Modi GST Economy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy