ছিল ১২, হয়ে গেল তিন। আয়কর রিটার্ন জমার নতুন তিন পাতার ফর্ম রবিবার প্রকাশ করে তা অনেকটাই সরল হয়েছে বলে দাবি করল অর্থ মন্ত্রক। আয়করদাতাদের দাবি মতোই এই ফর্মে বিদেশযাত্রা ও লেনদেন না-হয়ে পড়ে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, আয়কর রিটার্ন জমার শেষ তারিখও বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩১ অগস্ট। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে জমা দেওয়ার জন্য জুনের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে মিলবে নতুন ফর্ম।
গত মাসে ২০১৫-’১৬ হিসাব বর্ষের জন্য প্রাথমিক ভাবে প্রকাশিত এই ফর্মে ওই সব তথ্য চাওয়া হলে দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ১৪ পাতার ওই ফর্ম নিয়ে ব্যক্তিগত আয়করদাতা ছাড়াও ক্ষোভ জানান শিল্পপতি ও সাংসদরা। তাঁদের তরফে অভিযোগ ছিল বিদেশযাত্রা, সেখানে করা খরচ ও লেনদেন না-হওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে অহেতুক জটিল করা হয়েছে রিটার্ন জমার পদ্ধতি। প্রতিবাদের জেরে কেন্দ্র ওই ফর্ম চালু স্থগিত রাখে। নতুন ফর্মে তা না-চাইলেও বাড়তি তথ্য হিসেবে দাখিল করতে হবে:
• পাসপোর্ট নম্বর
• চালু থাকা সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য
তবে গত তিন বছরে লেনদেন হয়নি, এমন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য আয়করদাতাকে দাখিল করতে হবে না।
প্রতি বছরই চাকরিজীবী এবং যাঁদের ব্যবসা বা পেশাগত আয় নেই, তাঁদের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রিটার্ন জমা দিতে হয়, এ বার যা এক মাস বাড়ল। আইটিআর-১ বা আইটিআর-২ ফর্ম এর জন্য চালু আছে। তবে এ বারে চালু হচ্ছে আইটিআর-২এ ফর্ম-ও। যে-সব ব্যক্তি বা হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের মূলধনী লাভ খাতে আয় নেই, ব্যবসা-পেশাগত আয় নেই, বিদেশি সম্পদ বা সেই খাতেও আয় নেই, তাঁরা এই ফর্মে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
২ লাখ টাকা জরিমানা। আয়কর দফতর কোনও ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার পরে তার জবাব সংশ্লিষ্ট করদাতা ঠিক মতো দিতে না-পারলে তাঁকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। টাকার অঙ্ক কোনও ক্ষেত্রেই ৫০ হাজার টাকার কম হবে না। নতুন কালো টাকা (বিদেশে গচ্ছিত গোপন আয় ও সম্পদ) আইন, ২০১৫-র আওতায় আগামী অর্থবর্ষ থেকে চালু হবে এই প্রস্তাব। এই আইনে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির সায় মিলেছে। পাশাপাশি, বিদেশে কালো টাকা আছে বলে সন্দেহ হলে আয়কর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে সমন পাঠাতে পারবেন বা ই-মেল/ফ্যাক্স মারফত নোটিস জারি করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy