পবন কুমার বর্মা। মঙ্গলবার কলকাতায়। —নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্র বলে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ‘অচ্ছে দিনের’ মুখ দেখছে অর্থনীতি। বৃদ্ধির হারে বিশ্বে ভারত এখন উজ্জ্বলতম বিন্দু। অথচ সেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারেরই শরিক জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) সদস্য প্রশ্ন তুললেন দেশের আর্থিক হাল নিয়ে। বললেন, ভারতের অর্থনীতি এখন যেন অনেকটা মায়ার মতো।
মঙ্গলবার ক্যালকাটা চেম্বারের সভায় জেডিইউয়ের সদস্য ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ পবন কুমার বর্মা বলেন, কেন্দ্রের দাবি ভারতের বৃদ্ধি বিশ্বে দ্রুততম। অথচ চাকরি নেই। তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্র বলছে চাষির কাছে দ্রুত ঋণ পৌঁছচ্ছে, তা হলে কেন এত কৃষক আত্মহত্যা? সরকার বলছে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে, অথচ সাধারণ মানুষ বলছেন জিনিসের দাম বাড়ছে। নোট বাতিল ও তাড়াহুড়ো করে জিএসটি চালুর ফলেও সমস্যা হয়েছে বলে এ দিন জানান তিনি। তবে কুমারের মতে, সম্প্রতি টাকার দামের পতন ও মনমোহন-মোদী জমানার বৃদ্ধির হার নিয়ে কেন্দ্র-বিরোধী যে তরজা চলছে, সে ক্ষেত্রে সমালোচনার আগে আরও সতর্ক হওয়া উচিত। জিএসটি ও নোটবন্দি নিয়ে কুমারের মতকেই সমর্থন করেছেন লোকসভায় বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা। দলের মধ্যে যাঁর গায়ে এখন ‘বিক্ষুব্ধের’ তকমা। তাঁর দাবি, নোটবন্দির ফলে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই এর বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। নোটবন্দির কয়েক মাস পরেই জিএসটির মতো জটিল কর ব্যবস্থা চালুতেও মানুষের সমস্যা বেড়েছিল বলে এ দিন জানান তিনি।
একই সঙ্গে সিন্হা প্রশ্ন তোলেন দেশে গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়েও। তাঁর দাবি, সে ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা না হলেই ভাল হত। তিনি বলেন, অচ্ছে দিনের ভাবনা ভাল। কিন্তু সে জন্য আগে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামোর মতো নানা বিষয়ে নজর দিতে হবে। না হলে তা কথা হয়েই থেকে যাবে। যদিও সভায় উপস্থিত বিজেপিরই রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, অচ্ছে দিন তখনই আসবে, যদি সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগোনো যায়। ইতিমধ্যেই তা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy