এয়ারটেল ও ডাক বিভাগের পরে পেমেন্টস ব্যাঙ্ক চালু করল পেটিএম।
দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিতে পেমেন্টস ব্যাঙ্ক চালুর সিদ্ধান্ত নেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে এই পরিষেবার লাইসেন্স পেয়েছিলেন পেটিএম-এর প্রতিষ্ঠাতা বিজয় শেখর শর্মাও।
মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই ব্যাঙ্ক চালু করে পেটিএম জানিয়েছে, অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম টাকা জমা রাখার শর্ত থাকছে না। অনলাইন লেনদেনেও বাড়তি ‘ফি’ লাগবে না। পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক-এর সিইও রেণু সাত্তি জানান, ২০২০-র মধ্যে
৫০ কোটি গ্রাহকের কাছে পৌঁছনোই তাঁদের লক্ষ্য।
তবে আপাতত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়টি আমন্ত্রণমূলক। প্রথম পর্যায়ে পেটিএম তাদের কর্মী ও সহযোগীদের জন্য এই পরিষেবা চালু করবে। পেটিএম-এর বর্তমান গ্রাহকেরা সংস্থার ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন জানাতে পারবেন। প্রথম বছরে ৩১টি শাখা ও ৩ হাজারটি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র খুলবে তারা। তবে এয়ারটেল (৭.২৫%) ও ডাক বিভাগের (৫.৫০%) চেয়ে পেটিএমের সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার কম, ৪%। পেটিএম তাদের বর্তমান ব্যবসায়ী গ্রাহকদের জন্য কারেন্ট অ্যাকাউন্টও চালু করবে।
তবে এখন যাঁদের পেটিএম মোবাইল ওয়ালেট রয়েছে, তাঁরা আগামী দিনেও আগের মতোই তা চালু রাখতে পারবেন। টাকাও ভরতে পারবেন। কারণ পেটিএমের ওয়ালেট ব্যবসাটি তাদের ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশে গেলেও ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে খুলতে হবে।
আরও পড়ুন: চাকরি-রোজগার নেই, তোপ সঙ্ঘের মঞ্চেরই
বর্তমান গ্রাহকদের ওয়ালেটে টাকা ভরা থাকলে তা নতুন পরিকাঠামোতেও তাঁর মোবাইল-ওয়ালেটে থেকে যাবে। যদি কেউ নতুন ব্যবস্থায় ওয়ালেট-অ্যাকাউন্টে আর টাকা রাখতে না-চান, তা হলে মঙ্গলবারের মধ্যে পেটিএম-কে তা জানানোর কথা ছিল। সে ক্ষেত্রে সেই টাকা গ্রাহকের দাবি মতো তাঁর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিত তারা। তবে যদি কারও ওয়ালেটে কোনও টাকা না-থাকে এবং গত ছ’মাস সেই ওয়ালেট তিনি ব্যবহার না-করে থাকেন, তা হলে তাঁর ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। নতুন করে তাঁকে আবার ওয়ালেট-অ্যাকাউন্ট (ব্যাঙ্ক নয়) খুলতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy