Advertisement
২৩ অক্টোবর ২০২৪

৪২ হাজার কোটির পুঁজি ব্যাঙ্কে

সোমবার অর্থ মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ কর্তার দাবি, এই বছরের গোড়ায় ১১,৩৩৬ কোটি টাকার মূলধন জোগানো হয়েছিল পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক সমেত পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। এ বার দেওয়া হবে আরও ৪২ হাজার কোটি টাকা।

নতুন মূলধন জোগানো হবে ব্যাঙ্কে।

নতুন মূলধন জোগানো হবে ব্যাঙ্কে।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ০২:০৬
Share: Save:

চলতি আর্থিক বছরেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে আরও ৪২ হাজার কোটি টাকা মূলধন জোগাতে চলেছে কেন্দ্র। মূল লক্ষ্য, নতুন ঋণ দিতে যাতে তাদের নগদে টান না পড়ে, তা নিশ্চিত করা।

সোমবার এ কথা জানিয়ে অর্থ মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ কর্তার দাবি, এই বছরের গোড়ায় ১১,৩৩৬ কোটি টাকার মূলধন জোগানো হয়েছিল পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক সমেত পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। এ বার দেওয়া হবে আরও ৪২ হাজার কোটি টাকা।

২০১৭ সালের অক্টোবরে কেন্দ্র জানিয়েছিল, দুই অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে মোট ২.১১ লক্ষ কোটি টাকার নতুন মূলধন জোগানো হবে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা আসার কথা বন্ড ছেড়ে। বাকি ৭৬ হাজার কোটি সরকারি ভাঁড়ার থেকে। বন্ড ছেড়ে দেয় টাকার মধ্যে ৮২ হাজার কোটির পুঁজি ইতিমধ্যেই পেয়েছে ব্যাঙ্ক। বাকিটাও চলতি অর্থবর্ষে দেওয়ার কথা। আর সরকারের ঘর থেকে যে ৭৬ হাজার কোটি টাকা যাওয়ার কথা, তারও বাকি অর্থ নাকি মিটিয়ে দেওয়া হবে প্রতিশ্রুত সময়ে। মোট ২ লক্ষ ১১ হাজার কোটির মধ্যে এখনও ৬৫ হাজার কোটি পায় ব্যাঙ্কগুলি। তার মধ্যেই ৪২ হাজার কোটি আগামী মাসে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রকের ওই কর্তা।

ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের জন্য যে টাকা বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে তুলে রাখতে হয়, তার একটি অংশের সংস্থান করতে সম্প্রতি বাড়তি এক বছর সময় দেওয়ার কথা বলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সম্প্রতি বোর্ড বৈঠকে এই সুপারিশ করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদই। এতে এক দিকে ব্যাঙ্কগুলির পক্ষে বাড়তি সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া সম্ভব হবে। তেমনই আবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে অন্তত এ বছর ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকা মূলধন কম জোগালেও চলবে কেন্দ্রের। তখনই জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে, ওই সুযোগ নিয়ে কেন্দ্র সত্যিই শেষমেশ কম টাকা ব্যাঙ্কে ঢালবে কি না। কিন্তু অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ওই সুযোগ তারা নিতে চায় না। বরং তার বদলে আগের প্রতিশ্রুতি মেনে পুরো পুঁজিই ঢালতে চায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে। যাতে তাদের মূলধনে টান না পড়ে।

অন্য বিষয়গুলি:

Capital Economy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE