প্রতীকী ছবি।
চড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে আমেরিকা, ইউরোপের বহু দেশে দেখা দিয়েছে মন্দার আশঙ্কা। টান পড়ছে চাহিদায়। এর প্রভাব পড়েছে ভারতের রফতানিতেও। সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, সোনার গয়না এবং দামি পাথর, তৈরি পোশাক, তুলো এবং প্লাস্টিকজাত পণ্য রফতানি মার খাচ্ছে বেশি। পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের চালে রফতানি শুল্ক বসায় এবং খুদ পাঠানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় তার রফতানিও ৪০-৫০ লক্ষ টন কমতে পারে বলে আশঙ্কা।
দেশের রফতানির ২৫% হল ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য। ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাকেশ শাহ বলেন, ২০২১-২২ সালে ১১,২০০ কোটি ডলারের পণ্য বিদেশে গিয়েছিল। এ বারের লক্ষ্য ১২,৭০০ কোটি। কিন্তু তা ছোঁয়া সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না। অগস্টে এর রফতানি ১৪.৫% কমেছে। গয়না ও দামি পাথরের ৪%, প্লাস্টিকজাত পণ্যের ১.৪৭%।
অল ইন্ডিয়া রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিজয় শেঠিয়া বলছেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে চালের রফতানি নামতে পারে ১.৬-১.৭ কোটি টনে। এ দেশ থেকে বিশ্ব বাজারে ৪২% চাল যায়। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, নয়াদিল্লির পদক্ষেপে চড়বে খাদ্যের দাম। যদিও কেন্দ্রের দাবি, দেশে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং দরিদ্রদের সস্তায় খাদ্যশস্য জোগানোই লক্ষ্য।
শিল্প মহল বলছে, রফতানি কমলে প্রভাব পড়বে শিল্পোৎপাদনেও। কারণ, তখন সংস্থাগুলি উৎপাদন কমাবে। এর প্রভাবে বহু মানুষের রোজগারে ধাক্কা লাগতে পারে, হারাতে পারে কাজও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy