প্রতীকী ছবি।
ক্রেতা সুরক্ষায় আরও বেশি করে জোর দিতে গত ২১ জুন অনলাইনে পণ্য ও পরিষেবা বিক্রির নিয়মে একগুচ্ছ সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, ৬ জুলাইয়ের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সব পক্ষকে মতামত জানাতে। সূত্রের খবর, ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক ও শিল্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠকে নতুন সংশোধনী প্রস্তাব গ্রাহকদের সুরাহা দেবে না বলে দাবি করেছে শিল্পমহলের একাংশ। উল্টে অনলাইন ও ইট-কাঠ-পাথরের দোকানের মধ্যে নিয়মের সামঞ্জস্য না-থাকা গ্রাহক
এবং ছোট-মাঝারি সংস্থার স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করবে বলে জানানো হয়েছে সেখানে। সব মিলিয়ে বিষয়টি নিয়ে মতামত জানাতে কেন্দ্রের কাছে সেই সময়সীমা বাড়ানোর আর্জিও জানিয়েছে তারা।
কেন্দ্রের প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, অনলাইনে কোনও পণ্য সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে তা বিক্রি বা মিস সেলিং বন্ধ করা। প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে জালিয়াতি করে খুব কম এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোনও পণ্য বিক্রি (ফ্ল্যাশ সেল) হওয়া আটকানো ইত্যাদি। সেই সঙ্গে ভারতে ব্যবসা চালাতে এই সমস্ত ই-কমার্স সংস্থাগুলি যাতে শিল্প লগ্নি উন্নয়ন ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতরের (ডিপিআইআইটি) কাছে নথিভুক্ত হয়, সেই প্রস্তাবও করা হয়েছে।
শনিবার গবেষণা সংস্থা কাট্স ইন্টারন্যাশনালের এক আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞদেরও মতে, করোনার মধ্যে অনলাইনে কেনাকাটা অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের প্রচুর কাজে লেগেছে। এতে উপকৃত হয়েছেন গ্রাহক, ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পেরেছেন বহু ব্যবসায়ী। এই পরিস্থিতিতে কোনও নিয়ম যাতে এই ক্ষেত্রের প্রসারে বাধা না-হয়ে দাঁড়ায়, তা দেখতে হবে। কেন্দ্রের আনা প্রস্তাবে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন অনেকে। তাঁদের মতে, এতে সুরাহা তো হবেই না, উল্টে ধন্দ বাড়বে ব্যবসায়ী মহল ও ক্রেতার মধ্যে। দেশে সহজে ব্যবসার পরিবেশ তৈরিতে যা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তা ছাড়া, কনজ়িউমার প্রোটেকশন (ই-কমার্স) রুল্স, ২০২০ আনার এক বছরের মধ্যেই তাতে ফের সংশোধনী প্রস্তাব কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তাঁদের তোপ, কেন্দ্র বলেছে নানা মহলের অভিযোগ পাওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ, মেনে নিতে হবে যে বর্তমান নিয়ম জালিয়াতি বা আইন ভাঙা রুখতে ব্যর্থ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy