—ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রের হাতে আর্থিক বৃদ্ধিকে চাঙ্গা করার উপায় সে ভাবে নেই। তাই তাকে টেনে তুলতে রেপো রেট ছাঁটাইয়ের পক্ষেই সওয়াল করলেন খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে দাস বলেন, অর্থনীতির গতি শ্লথ। সরকারের হাতে এই মুহূর্তে রাজকোষ ঘাটতিতে রাশ টেনে বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার মতো সুযোগ সে ভাবে নেই। তার উপরে আগামী ১২ মাস মূল্যবৃদ্ধি কম থাকবে বলেই ধারণা। ফলে শীর্ষ ব্যাঙ্কের সামনে সুযোগ আছে সুদ আরও কমানোর। তবে কেন্দ্রকে বাজেটে নেওয়া লগ্নির লক্ষ্যমাত্রার বেশির ভাগটা এখনই করে ফেলতে হবে বলেও মত তাঁর। একই সঙ্গে সরকার ঘাটতির লক্ষ্য থেকে না-সরেই ফের বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ করতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, অর্থনীতির ঝিমুনি কাটাতে মঙ্গলবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতির অস্ত্র বেশি করে ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রিন্সিপাল আর্থিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল। তাঁর মতে, ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রেখে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর চেয়ে ঋণনীতির নানা অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ বেশি। আজ শক্তিকান্তের কথা সে দিকেই ইঙ্গিত করল বলে মত অনেকের।
গত সোমবারই দাস বলেছিলেন, সৌদি অ্যারামকোর তেল শোধনাগারে হামলার অর্থ বিশ্বে অশোধিত তেলের জোগান ৫% কমা। অবস্থা স্বাভাবিক না-হলে কঠিন হবে ঘাটতিতে রাশ টেনে রাখা। আজ যদিও তাঁর দাবি, মূল্যবৃদ্ধি ও ঘাটতির উপরে এই সঙ্কটের প্রভাব পড়বে না। তবে শুক্রবারই ফের দেশে বাড়তে চলেছে পেট্রল, ডিজেলের দর। ফলে টানা দাম বাড়ায় অনেকেরই প্রশ্ন, মূল্যবৃদ্ধির উপরে তার প্রভাব একেবারেই পড়বে না, সেটা নিশ্চিত হওয়া কি সম্ভব?
অন্য দিকে, যে সমস্ত ব্যাঙ্ক দুর্বল এনবিএফসিগুলিকে ঋণ দিয়েছে, তাদের বেশি বকেয়া ছাড়তে হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন দাস। অনেকের মতে, আইএল অ্যান্ড এফএস-সহ বেশ কিছু এনবিএফসির ঋণ বকেয়ার ঘটনা সামনে আসায় এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy