প্রতীকী ছবি।
মূল্যবৃদ্ধি থেকে অর্থনীতির হাল নিয়ে মোদী সরকার যখন বিরোধীদের তোপের মুখে, তখন কিছুটা আশার কথা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক প্রকাশিত নিবন্ধে। লিখেছেন আরবিআইয়ের ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্রের নেতৃত্বে সংস্থার অফিসারেরা। সেখানে বলা হয়েছে, মূল্যবৃদ্ধির হার এতটাই চড়া ছিল যে নীতিগত পদক্ষেপ দরকার হয়। কিন্তু জুন-জুলাইয়ে তার কমে আসা খুশির খবর। এপ্রিলে মূল্যবৃদ্ধি চূড়োয় উঠেছিল। এ বার কমবে। সহনীয় মাত্রার মধ্যে পৌঁছতে অবশ্য গড়িয়ে যাবে আগামী এপ্রিল-জুন। শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের দাবি, দেশে আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়ছে। শহুরে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির ইঙ্গিত। নিবন্ধে আশ্বাস, উৎসবের মরসুম কেনাকাটা আরও বাড়বে।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যে ভাবে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে এবং তাকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা রাস্তায় নামছেন, তাতে চিন্তায় কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁর জন্মদিনেও অর্থনীতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। মূল্যবৃদ্ধি সর্বোচ্চ সহনসীমা (৬%) ভেঙে ৭% ছাড়ানোর পরে আরবিআই তিন বার সুদ বাড়িয়েছে। নিবন্ধে ইঙ্গিত, সেপ্টেম্বরে ফের বাড়তে পারে। যদিও নিবন্ধের বক্তব্য রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের মতের সঙ্গে না-ও মিলতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সেখানে দাবি, বিশ্ব বাজারে আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা আরও কুয়াশাচ্ছন্ন হলেও জোগান সহজ হওয়ায় চড়া মূল্যবৃদ্ধি থেকে কিছুটা সুরাহা মিলেছে।
দেশে বৃষ্টিও ভাল হচ্ছে। কারখানায় উৎপাদন ও পরিষেবার হাল ফিরছে। উৎসবের মরসুমে গ্রামেও চাহিদা বাড়বে। অন্য এক নিবন্ধে লেখা, ব্যবসায়িক কাজকর্ম এবং চাহিদা বাড়ায়, গত অর্থবর্ষে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা বেড়েছে, বিশেষত পরিকাঠামোয়। গত বারের লগ্নি পরিকল্পনাগুলিতে পুঁজির তিন ভাগের এক ভাগের বেশি খরচ হবে এই অর্থবর্ষেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy