উর্জিত পটেল
সুদ ঠিক করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটির বৈঠক শুরু হয়ে গেল মঙ্গলবার। শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেলের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এই কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্ত ঘোষিত হবে বুধবার। তীব্র উৎকন্ঠা নিয়ে এখন তাই সে দিকে তাকিয়ে কেন্দ্র, শিল্প ও শেয়ার বাজার। শিল্প ও অর্থনীতির পালে হাওয়া ফেরাতে সুদের হার আরও কমা জরুরি বলে মনে করছে যারা।
এপ্রিল থেকে জুন, এই তিন মাসে গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে নীচে নেমেছে আর্থিক বৃদ্ধি (৫.৭%)। শিল্প বৃদ্ধি ঠেকেছে তলানিতে (১.২%)। নোট নাকচ থেকে শুরু করে তড়িঘড়ি জিএসটি চালু— সব কিছুই অর্থনীতির ছন্দ নষ্ট করেছে বলে ক্রমাগত ধেয়ে আসছে বিরোধীদের সমালোচনা। শিল্পের অভিযোগ, এ সবের জেরে এক দিকে কমেছে চাহিদা। অন্য দিকে মূলধন জোগাড় করতে গিয়ে ওষ্ঠাগত হচ্ছে প্রাণ। ফলে ধাক্কা লাগছে শিল্পের কর্মকাণ্ডে। শুকিয়ে যাচ্ছে লগ্নি। কর্মসংস্থান সে ভাবে তৈরি না-হওয়ার তির এসে বিঁধছে সরকারকে। শেয়ার বাজার এখন হয়তো উঁচু জায়গায়। কিন্তু ভবিষ্যতে অর্থনীতি নড়বড়ে হলে, তার পতনের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর এই সমস্ত কারণেই সুদ ছাঁটাইয়ের আশায় প্রহর গুনছে এই তিন মহল।
বৃদ্ধির চাকায় গতি ফেরাতে শিল্প ও সরকারের তরফে বারবার দাবি উঠেছে সুদ আরও ছাঁটার। যেটা হলে, মূলধন জোগাড়ের খরচ কমবে। বাড়বে পণ্যের চাহিদা। আর তা পূরণের জন্য উৎপাদন বাড়াতে শিল্পের লগ্নির পথে হাঁটার সম্ভাবনা বাড়বে।
‘মরিয়া’ শিল্পের হয়ে মঙ্গলবার তাই বণিকসভা সিআইআইয়ের সওয়াল, এ বার ১০০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমাক শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আর অ্যাসোচ্যামের দাবি, সুদ কমুক অন্তত ২৫ বেসিস পয়েন্ট।
ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞদের অনেকের অবশ্য ধারণা, সুদ থাকবে অপরিবর্তিত। যার মূল কারণ মূল্যবৃদ্ধি। সম্প্রতি তা ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। যদিও এখনও তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া সীমা পেরোয়নি, তবু আগেভাগে কিছুটা সতর্ক থাকতেই পটেলরা সুদে হাত না-ও দিতে পারেন বলে মনে করছেন তাঁরা।
এই পরিস্থিতিতে ভয়ে কিছুটা কাঁটা সুদ নির্ভর বয়স্ক নগরিকরা। ইতিমধ্যেই সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের জমা থেকে শুরু করে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদ কমায় ধাক্কা খেয়েছেন যাঁরা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ ফের ছাঁটলে দুশ্চিন্তা আরও বাড়বে তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy