এই খবরে খুশির হাওয়া কর্মী মহলে।
দু’দশকের আইনি লড়াইয়ের ইতি হল স্বস্তির নিশ্বাসে। দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের পর এ বার খানিকটা তাজা হাওয়া এল গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিতে। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের মতো সঠিক পদ্ধতিতে পেনশন চালুর জন্য বহু দিন থেকেই বিক্ষোভ, আন্দোলন চলছিল গ্রামীণ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখায়। এ বার সেই দাবিতে পাকাপাকিভাবে সিলমোহর দিল দেশের শীর্ষ আদালত। চলতি বছর এপ্রিলেই গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিকেও পেনশনের আওতায় আনার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
বেতন বৃদ্ধি, পেনশন প্রকল্প চালু-সহ এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল ‘অল ইন্ডিয়া রিজিওনাল রুরাল ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন’ (এআইআরআরবিইএ)। সেই আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া এসেছিল গোটা দেশের এআইআরআরবিইএ-র সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন যৌথ সংগঠনগুলি থেকেও। তাদের দাবি ছিল, দেশের দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষদের কাছে সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়াই গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির কাজ।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের মতো বেতন বা পেনশন প্রকল্পের কোনও সুবিধাই পেতেন না গ্রামীণ ব্যাঙ্কের কর্মচারীরা। ১৯৯৩ সাল থেকে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিতে পেনশন প্রকল্প চালুর পর থেকে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল গ্রামীণ ব্যাঙ্ক সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুন, ৩২৫টি সংস্থার নিজস্ব পিএফ বাতিল কেন্দ্রের
আগামিকালের অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি এবং মুখ্য বক্তা ভি রেড্ডি।
১৯৭৫ সাল থেকে পথ চলা শুরু গ্রামীণ ব্যাঙ্কের। ১৯৮৭ সালের মধ্যে গোটা দেশেই ডালপালা বিস্তার করে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ১৯৬টি শাখা। ভুঁইফোড় আর্থিক সংস্থাগুলি থেকে মুক্তি দিয়ে প্রান্তিক মানুষের সঞ্চয়কে প্রতিষ্ঠানের আওতায় আনতেই শুরু হয় তাদের যাত্রা। অথচ, নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকায় দীর্ঘ দিন ধরেই সুর চড়াচ্ছিলেন গ্রামীণ ব্যাঙ্কের কর্মচারীরা। বেতন, পেনশন-সহ নানা দাবিতে সরকারের ঘরে আবেদনপত্রও জমা করা হয়েছিল। এত দিন সেই দাবিদাওয়া ছিল লাল সুতোর ফাঁসে বাধা। অবশেষে সেই দাবি পূর্ণ হওয়ায় স্বভাবতই খুশির হাওয়া গ্রামীণ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন সংগঠনে। সাফল্যের খুশিতে আগামী রবিবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে অল বেঙ্গল গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িস ফেডারেশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy