ডলারের সাপেক্ষে এক লাফে ২৫ পয়সা বাড়ল টাকার দাম। বৃহস্পতিবার এক ডলার হল ৬৪.৩৮ টাকা। আগের দিন তা পড়ে গিয়েছিল ৩২ পয়সা। তবে বুধবার নজির গড়ার পরে শেয়ার বাজার এ দিন কিছুটা থমকেই ছিল। সেনসেক্স মাত্র ২.৮১ পয়েন্ট উঠে থিতু হয় ৩০,২৫০.৯৮ অঙ্কে। নিফ্টি উঠেছে ১৫.১০ পয়েন্ট। দাঁড়িয়েছে ৯,৪২২.৪০ অঙ্কে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাকার দাম বেড়েছে মূলত শেয়ার বাজারে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিনিয়োগের হাত ধরে। কারণ, তারা বিদেশ থেকে আনা ডলার টাকায় বদলে ভারতের বাজারে শেয়ার কিনতে ঢালে। ফলে এ দেশে তাদের লগ্নির বহর বাড়লে বাজারে বাড়ে ডলারের জোগান। তখন মার্কিন মুদ্রাটির দাম কমে ও ভারতীয় মু্দ্রার দাম বাড়ে। এ দিন ঠিক সেটাই ঘটেছে। টাকার উত্থানের অপর কারণ, চলতি অর্থবর্ষে আবহাওয়া দফতরের দেওয়া ভাল বর্ষার পূর্বাভাস। যা সত্যি হলে, দেশের আর্থিক অবস্থা চাঙ্গা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ইতিবাচক প্রভাবও পড়েছে টাকায়।
টাকা এবং শেয়ারের উল্টো দিকে হেঁটে পড়ে গিয়েছে সোনার দর। কলকাতায় প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট সোনা ১৩০ টাকা কমে হয়েছে ২৮,৪৬০ টাকা। দিল্লিতে পতনের বহর আরও বেশি, প্রায় ২৬৫ টাকা।
এ দিকে শেয়ার বাজার সূত্রের খবর, প্রথম বার বাজারে ছাড়া হাডকোর শেয়ার কিনতে প্রায় এ দিন ৮০ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে। সংস্থাটি বাজারে ছেড়েছে প্রায় ২০.৪০ কোটি শেয়ার। কিন্তু তা কেনার জন্য এসেছে ১,৬২২ কোটি আবেদন। ২০১২ সালের পরে আর কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার প্রথম শেয়ার ইস্যুতে এত বেশি সাড়া মেলেনি। শেয়ার ছেড়ে হাডকো ১,২২০ কোটি তুলতে চায়। শেয়ার পিছু দাম ৫৬-৬০ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy