শুক্রবার বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল প্রায় ২% বাড়ে। ব্রেন্ট ক্রুড হয় ব্যারেলে ৮৩ ডলারের বেশি। প্রতীকী ছবি।
ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাতের জেরে রাশিয়ার তেলের দরের ঊর্ধ্বসীমা ব্যারেলে ৬০ ডলারে বেঁধেছিল জি-৭ গোষ্ঠী-সহ উন্নত দুনিয়ার একাংশ। তখনই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল রাশিয়া। এ বার পাল্টা হিসেবে মার্চ থেকে উৎপাদন ছাঁটাইয়ের কথা জানাল তারা। এই খবরে শুক্রবার বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল প্রায় ২% বাড়ে। ব্রেন্ট ক্রুড হয় ব্যারেলে ৮৩ ডলারের বেশি।
শুক্রবার রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজ়ান্ডার নোভাক জানান, বর্তমানে উত্তোলিত অশোধিত তেলের পুরোটাই বিক্রি করছেন তাঁরা। কিন্তু যে সমস্ত দেশ দরের ওই ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে মেনে চলছে, তাদের তাঁরা তেল বিক্রি করবেন না বলে আগের মতো আজ আবারওস্পষ্ট করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেছেন, ‘‘সেই সূত্রে রাশিয়া আগামী মাস থেকে স্বেচ্ছায় দৈনিক ৫ লক্ষ ব্যারেল উৎপাদন কমাবে।’’
বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, দরের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার পাল্টা হিসেবে রাশিয়ার উৎপাদন ছাঁটাই অশোধিত তেলের দর বাড়িয়ে দিতে পারে। তার জোগান কমলে পাম্পে তেলের দামও বাড়বে। পশ্চিমী দুনিয়ার দাবি ছিল, তেলের দাম চড়লে রাশিয়ার আয়ও বাড়বে। যা তারা ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে কাজে লাগবে। যদিও মস্কো সেই অভিযোগ মানেনি।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের একাংশের আবার মত, রাশিয়া তেলের উৎপাদন ছাঁটাইকে হাতিয়ার করতে পারে। এটি তারই ইঙ্গিত। কারণ গত বছর প্রাকৃতিক গ্যাসের জোগান কমানোকে হাতিয়ার করার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয় তারা। যদিও তেলের বিকল্প জোগানের পথ খোঁজা সহজ হওয়ায় উৎপাদন কমিয়ে রাশিয়া আদৌ কতটা সাফল্য পাবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy