কখনও চোখ রাঙিয়েছে তেলের আকাশছোঁয়া দর। কখনও কাঁপুনি ধরিয়েছে আইএল অ্যান্ড এফএস কাণ্ড। তবু সব সামলে শেয়ার বাজার ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ শেষ করল সাড়ে ৩৮ হাজার পেরিয়ে। রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছে। যে সর্বকালীন উচ্চতায় এ বছরই প্রথম পা রেখেছে সেনসেক্স। শুক্রবার অর্থবর্ষের শেষ লেনদেনের দিনে সেনসেক্স দাঁড়াল ৩৮,৬৭২.৯১ অঙ্কে। নিফ্টি ১১,৬২৩.৯০-তে। আগামী বছরে তার গতি কী হবে, সে জন্য বাজারের চোখ এখন আর পাঁচটা জিনিসের পাশাপাশি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দিকেও।
ডলারের সাপেক্ষে তলানিতে ঠেকা টাকার দাম ও চড়া তেলের দর ঘিরে বছরের প্রথমে অনিশ্চয়তা ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে হুমকি নিয়েও দোটানায় ছিল বাজার। কিন্তু তার মধ্যেও বিশেষ করে সংস্থাগুলির ভাল ফলে ভর করে সুযোগ পেলেই উঠেছে সূচক। ২৮ অগস্ট সেনসেক্স পৌঁছেছিল রেকর্ড ৩৮,৮৯৬ অঙ্কে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএল অ্যান্ড এফএসের ঋণ শোধ করতে না পারায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্র। জানুয়ারি থেকে সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে অর্থবর্ষে সূচক বেড়েছে প্রায় ৫,৭০০ পয়েন্ট (১৭.৩%)।
কয়েক মাসে চিন-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি এবং তেলের দর নেমে আসাও স্বস্তি ফিরিয়েছে লগ্নিকারীদের মনে। গত বছরের অনেকটা সময় যারা টানা শেয়ার বেচেছিল, সেই সব বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাও ২০১৯-এ বাজারে ফিরেছে। ফলে আইএল অ্যান্ড এফএস কাণ্ডের পরে যে সূচক প্রায় ৩,০০০ পয়েন্ট নেমে গিয়েছিল, অর্থবর্ষ শেষে তা আবার রেকর্ডের দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে।
এর মধ্যেও লগ্নিকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে, বিশ্বে আর্থিক গতি কমার ইঙ্গিত মিলেছে। এই অবস্থায় লোকসভা ভোটে কোন দল ক্ষমতা আসে, আবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার তৈরি হয় কি না, এ সবের দিকেই চোখ থাকবে বাজারের। নজরে থাকবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি, বর্ষা, চিন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের আলোচনা, ব্রেক্সিটের মতো ঘটনাতেও। যদিও তাঁদের মতে, আগামী ক’মাসে যা-ই হোক না কেন, দীর্ঘ মেয়াদে দেশে আর্থিক কর্মকাণ্ড ও পোক্ত অর্থনীতিই বাজারের গতি নির্ধারণ করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy