আমেরিকার বৃদ্ধি নিয়ে সে দেশের অর্থনীতিবিদেরা আশঙ্কার রিপোর্ট প্রকাশের পরে বিশ্ব জুড়ে চিন্তার যে ছায়া পড়েছিল, তা এক দিনেই ভুলে গেল শেয়ার বাজার। আগের টানা দু’দিনে ৫৭৫ পয়েন্ট পড়ার পরে, মঙ্গলবার সেনসেক্স উঠল ৪২৪.৫০ পয়েন্ট। দাঁড়াল ৩৮,২৩৩.৪১ অঙ্কে। চাঙ্গা ছিল অন্যান্য দেশের সূচকও।
এ দিন খবর মেলে, মার্কিন বন্ডের বাজার চাঙ্গা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এটা কোনও দেশের আর্থিক উন্নতিরই ইঙ্গিত। যদিও বন্ডের বাজার ঘুরে দাঁড়ালে, সাধারণত শেয়ার বাজারের কপালে ভাঁজ পড়ে। কারণ লগ্নির একটা অংশ তখন বন্ডে রওনা দেয়। কিন্তু অনেকেই বলছেন, যেহেতু বন্ড বাজার চাঙ্গা হওয়া কোনও দেশের পক্ষে ভাল বার্তা, তাই লগ্নিকারীরা ভরসা পেয়েছেন।
এ দিন ডলারে টাকার দামও বেড়েছে। ১০ পয়সা নেমে ডলার হয়েছে ৬৮.৮৬ টাকা। এ দিন ভারতে বাজার বৃদ্ধিতে ইন্ধন জুগিয়েছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিনিয়োগও। যা ডলারের জোগান বাড়ায়। পাশাপাশি বাজারে নগদের জোগান বাড়াতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্য ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে টাকা এবং ডলারের মধ্যে যে বিনিময় প্রকল্প তৈরি করেছে, তার প্রথম পর্যায়ের লেনদেন শুরু হয় এ দিনই। এর ইতিবাচক প্রভাবও টাকার দামে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে।
তবে ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএমডি ভাস্কর সেন বলেন, ‘‘এই লেনদেনে কেনা ও বেচা একই সময়ে ঘটার ফলে তার বড় কোনও প্রভাব বাজারে ডলারের চলতি দামের উপর পড়ার সম্ভাবনা কম।’’ ওই টাকা-ডলার বিনিময় প্রকল্পে দেশের ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট (স্বল্প) মেয়াদের জন্য টাকার বিনিময়ে ডলার কিনে নেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর ফলে বাজারে নগদ টাকার জোগান বাড়বে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যখন ডলার কিনবে তখন একই সময়ে আগাম লেনদেনে একটি নির্দিষ্ট স্বল্প মেয়াদের পর ফের ব্যাঙ্কগুলি ওই ডলার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে কিনে নেবে।