কিংগ্ফিশার এয়ারলাইন্সের বকেয়া করের টাকা আদায়ের জন্য গত সপ্তাহেই বিজয় মাল্যের ব্যক্তিগত ব্যবহারের বিমানটি নিলামে তুলেছিল পরিষেবা কর বিভাগ। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে সেই প্রচেষ্টা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, এ বার তাই ন্যূনতম দর কমিয়ে ফের সেটি নিলামে তোলার কথা ভাবছে তারা। দফতরের সদস্যদের নিয়ে গড়া কমিটি দর নিয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।
মাল্যের কিংগ্ফিশার এয়ারলাইন্সের কাছে পরিষেবা কর বিভাগের পাওনা রয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। সেই টাকা উদ্ধারের জন্য ২০১৩ সালে ওই বিমান বাজেয়াপ্ত করে তারা। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের জুনের শেষে সেটিকে নিলামে তোলা হয়। সর্বনিম্ন দর রাখা হয়েছিল ১৫২ কোটি টাকা। সেটি কিনতে ১.০৯ কোটি টাকার দরপত্র জমা দিয়েছিল একমাত্র সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত সংস্থা আলনা এরো ডিস্ট্রিবিউশনাল ফিনান্স হোল্ডিংস। নিয়ম অনুসারে প্রথম দফায় ১ কোটি টাকা জমাও দেয় তারা। কিন্তু প্রস্তাবিত দর ন্যূনতম দামের ১ শতাংশেরও কম হওয়ায় নিলাম বাতিল করে দেয় কর বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, মাল্যের এই বিলাসবহুল বিমান ফের নিলামে তুলতে ইতিমধ্যেই অনুমতি দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। আগামী ২১ অগস্ট তা হতে পারে। আর সে ক্ষেত্রেই ন্যূনতম দর কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত এপ্রিলে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রতীকচিহ্ন (ট্রেডমার্ক) নিলামে তুলেছিল ১৭টি ঋণদাতা ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়াম। ন্যূনতম দর রাখা হয়েছিল ৩৬৬.৭০ কোটি টাকা। কিন্তু সেগুলি কিনতে দরই হাঁকেননি কেউ। তারও আগে মার্চে মুম্বইয়ে সংস্থার অফিস কিংগ্ফিশার হাউস নিলামে তুলেছিল ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলি। সে বারও সাড়া দেননি কেউই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ ছিল মূলত দু’টি—
প্রথমত, নিলামে ন্যূনতম দর অনেক বেশি রাখা হয়েছিল। বিমান পরিষেবা সংস্থাটির ভাল সময়ে শুধুমাত্র কিংগ্ফিশার ব্র্যান্ডেরই মূল্য ৪,০০০ কোটি টাকার বেশি ছিল বলে জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক উপদেষ্ট সংস্থা। কিন্তু এখন তা-ই ৬ কোটি টাকাও হবে না বলে মনে করছে তারা। অথচ এই অবস্থায় নিলামের ন্যূনতম দর রাখা হয়েছিল ৩৬৬.৭০ কোটি। সে ক্ষেত্রে কেন কেউ স্বেচ্ছায় এগুলি কিনতে চাইবেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সংশ্লিষ্ট মহল।
দ্বিতীয়ত, নিলামের কথা ঘোষণা হওয়ার পরেই কিংগ্ফিশারের মূল সংস্থা মাল্যের ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজ গোষ্ঠী হুমকি দিয়েছিল, নিলামে ওঠা তাদের এই লোগো একমাত্র বিমান পরিষেবা সংস্থা তৈরির ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যাবে। অন্য কোনও ক্ষেত্রে যদি সেই নাম ব্যবহার করা হয়, তা হলে আদালতের দ্বারস্থ হবে তারা।–সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy