টানা দু’দিন। তা-ও মাসের শেষে। বুধ ও বৃহস্পতিবারের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছে ছোট-মাঝারি শিল্প। এই শিল্পের সংগঠন ফসমি ও ফ্যাকসি-র দাবি, ঋণের কিস্তি মেটানো নিয়ে ঘোর চিন্তায় ছোট সংস্থাগুলি। সমস্যা হতে পারে বিদ্যুতের বিল মেটানো বা কর্মীদের বেতন দেওয়ার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রেও। দুর্ভোগ হতে পারে কিছু মাঝারি সংস্থারও।
বেতন সংশোধন-সহ নানা দাবিতে দু’দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা। বেশ কিছু দিন আগেই সে কথা জানিয়েছে ইউনিয়নগুলি। তাই সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলি কেন আগে থেকে অর্থের বন্দোবস্ত করে রাখেনি?
ফসমির ভাইস প্রেসিডেন্ট গৌতম রায় ও সদস্য হেমন্ত সারায়োগির দাবি, অধিকাংশ ক্ষুদ্র ও ছোট সংস্থারই হাল খারাপ। সাধারণত মাসের শেষে ক্রেতারা চেকের মাধ্যমে সংস্থাগুলির পাওনা মেটায়। তারপর সেই টাকায় পরের মাসে কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য বকেয়া মেটানো হয়। ধর্মঘটের জন্য বেশির ভাগ পাওনাই আটকে। মঙ্গলবার জমা পড়া চেকও আগামী সপ্তাহের আগে ‘ক্লিয়ার’ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। ফলে নগদ লেনদেনে টান পড়বে।
তার উপর কর্মীদের বেতন দিতে দেরি হলে উৎপাদনশীলতাও ব্যাহত হতে পারে। হেমন্তের আশঙ্কা, আর্থিক লেনদেন আটকে যাওয়ায় ব্যাঙ্ক ঋণের কিস্তি ও সুদ মেটাতে না পারলে জরিমানাও হতে পারে সংস্থাগুলির।
অনলাইন লেনদেন নয় কেন? হেমন্ত ও ফ্যাকসি প্রেসিডেন্ট হিতাংশু গুহর দাবি, বেশির ভাগ ছোট-মাঝারি সংস্থা তাতে সড়গড় নয়।
গৌতমবাবু জানান, তাঁর মতো অনেকেই সম্পত্তির মূল্যায়নকারী হিসেবে কাজ করেন। যাঁদের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে সংস্থাকে ঋণ দেয় ব্যাঙ্ক। সাধারণত মাসের শেষের দিকে এ ধরনের প্রস্তাবগুলি জমা পড়ে। তাঁর দাবি, মাসের শেষে ধর্মঘটে বহু ব্যাঙ্কে সেই প্রস্তাব জমা পড়বে না। ফলে এক দিকে তাঁরা কিছুটা ব্যবসা হারাবেন। অন্য দিকে, ব্যাঙ্কের ঋণ বণ্টনের লক্ষ্যও খানিকটা ধাক্কা খাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy