প্রতীকী ছবি।
টানা চার দিন ওঠার পর সামান্য পড়ল শেয়ার বাজার। বুধবার সেনসেক্স ১৩.৬০ পয়েন্ট পড়ে ৩১,১৪৫.৮০ অঙ্কে এবং নিফ্টি ৩.৩০ পয়েন্ট কমে ৯,৬২১.২৫ অঙ্কে এসে ঠেকে। এ দিন আর্থিক বৃদ্ধির পরিসংখ্যান অবশ্য বাজার বন্ধের পরে প্রকাশিত হয়। সেই কারণে বাজার ছিল কিছুটা সতর্ক। জিডিপি বৃদ্ধির হার জানুয়ারি থেকে মার্চ ত্রৈমাসিকে ৬.১ শতাংশে নেমে আসার বিরূপ প্রভাব আজ বাজারে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই দিন অবশ্য টাকার দাম বেড়েছে। টানা দুই দিন পড়ার পর এই দিন ডলারের সাপেক্ষে টাকার দম ১৫ পয়সা বেড়ে যায়। যার ফলে বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম এসে দাঁড়ায় ৬৪.৫১ টাকা।
এ দিকে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিকে কিছুটা চিন্তায় ফেলেছে পার্টিসিপেটরি নোট (পি নোট)-এ ফি আদায়ের জন্য সেবি উদ্যোগী হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থার খবর। সেবির প্রস্তাব, প্রতিটি পি নোটের ক্ষেত্রে ১০০০ ডলার করে ফি (রেগুলেটরি ফি) দিতে হবে।
বিদেশি লগ্নিকারীরা ভারতের শেয়ার বাজারে লগ্নি করার জন্য বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির কাছে তাদের অ্যাকাউন্ট খোলে। সেই অ্যাকাউন্টকেই বলা হয় পি নোট।
বিভিন্ন সময়ে এমন অভিযোগও উঠেছে যে, পি নোটের মাধ্যমে ভারতের শেয়ার বাজরে কালো টাকা লগ্নি করা হয়। এর জন্য বিভিন্ন সময়ে পি নোটের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে সেবি। এ বার তাতে আরও কড়াকড়ি আনতে চায় বাজার নিয়ন্ত্রক।
ভারতের শেয়ার বাজারে পি নোটের মাধ্যমে লগ্নির পরিমাণ বর্তানে ১.৬৮ লক্ষ কোটি টাকা। এক সময়ে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির ভারতের শেয়ার বাজারে মোট বিনিয়োগের অর্ধেকই ছিল পি নোটের মাধ্যমে। কিন্তু ক্রমশ তা কমতে কমতে এখন ৬ শতাংশে এসে ঠেকেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy