যে-স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে তাতে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। প্রকল্পের শর্তগুলি এই রকম:
(১) কোনও কর্মী বা অফিসার কমপক্ষে ২০ বছর চাকরি করে থাকলে অথবা ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর বয়স ৫৫ বছর হলে তবেই তিনি স্বেচ্ছাবসরের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
(২) চাকরির মেয়াদ যতদিন বাকি আছে তত দিনের ৫০ শতাংশ বেতন অথবা ৩০ মাসের বেতন, যেটা কম হবে সেই টাকা তিনি পাবেন স্বেচ্ছাবসরের ক্ষতিপূরণ হিসাবে।
মিশে যাওয়ার পরে সহযোগী ব্যাঙ্কের সমস্ত কর্মীই স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মী হিসেবে পরিগণিত হবেন। স্টেট ব্যাঙ্ক ও সহযোগী ব্যাঙ্কের কর্মী এবং অফিসারদের মধ্যে মূল বেতন, মহার্ঘ ভাতা, বাড়ি ভাড়া ইত্যাদি এক হলেও অতিরিক্ত কিছু আর্থিক সুবিধা রয়েছে, যেগুলি স্টেট ব্যঙ্কের কর্মীরা পেলেও সহযোগী ব্যাঙ্কের কর্মীরা পান না।
যে-পাঁচটি সহযোগী ব্যাঙ্ক এসবিআইয়ের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে সেগুলি হল: স্টেট ব্যাঙ্ক অব হায়দরাবাদ, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ত্রিবাঙ্কুর, স্টেট ব্যাঙ্ক অব বিকানের অ্যান্ড জয়পুর, স্টেট ব্যাঙ্ক অব পাতিয়ালা এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অব মহীশূর। এর আগে স্টেট ব্যাঙ্ক অব সৌরাষ্ট্র এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইনদওরকে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল মূল ব্যাঙ্কের সঙ্গে।
হালে মিশে যাওয়া সহযোগী ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে স্টেট ব্যঙ্ক অব হায়দরাবাদের কর্মী সংখ্যা সব থেকে বেশি। সব থেকে কম স্টেট ব্যাঙ্ক অফ মহীশূরে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ হায়দরাবাদে কাজ করেন ১৭৪১৪ জম কর্মী। স্টেট ব্যঙ্ক অফ মহীশূরে ১০৬৫০ জন।
সহযোগীদের মিশিয়ে দেওয়ার পরে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে একমাত্র স্টেট ব্যাঙ্কই আন্তর্জাতিক মানের ব্যাঙ্কের আকার পাবে বলে ধারণা শিল্পমহলের। বর্তমানে সহযোগী ব্যাঙ্কগুলিতে মোট ৫ হাজার শাখা রয়েছে। এগুলি মিশে যাওয়ার পরে স্টেট ব্যাঙ্কের মোট শাখার সংখ্যা দাঁড়াবে ২৩ হাজারের মতো। এ ছাড়া সহযোগী ব্যাঙ্কগুলিতে এটিএম রয়েছে ১৫ হাজার। সংযুক্তির পরে সারা দেশে স্টেট ব্যাঙ্কের মোট এটিএমের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৬৪ হাজার।
তবে এর পরে সহযোগী ব্যাঙ্কের বেশ কিছু শাখা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যাঙ্কিং শিল্পের ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের অনেকেই। এআইবিইএ সভাপতি রাজেন নাগর বলেন, ‘‘আগের বার দুটি সহযোগী ব্যাঙ্ককে মিশিয়ে নেওয়ার পরে তাদের বেশ কিছু শাখা বন্ধ করে দিয়েছিলেন স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তপক্ষ। আমাদের আশঙ্কা এ বারও শাখা বন্ধ করার রাস্তায় হাঁটতে পারেন তাঁরা।’’