Advertisement
০৫ মে ২০২৪

উত্তরপ্রদেশের ট্যানারি টানতে ময়দানে রাজ্য

চর্মশিল্পে উত্তরপ্রদেশের লগ্নি এ রাজ্যে টানতে কোমর বেঁধে মাঠে নামছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ২০মে ওই রাজ্যের তথা দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র ও শিল্প সচিব রাজীব সিন্‌হা। সম্ভাব্য লগ্নির অঙ্ক প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা।

গার্গী গুহঠাকুরতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৭ ০৪:০৯
Share: Save:

চর্মশিল্পে উত্তরপ্রদেশের লগ্নি এ রাজ্যে টানতে কোমর বেঁধে মাঠে নামছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ২০মে ওই রাজ্যের তথা দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র ও শিল্প সচিব রাজীব সিন্‌হা। সম্ভাব্য লগ্নির অঙ্ক প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা।

উত্তরপ্রদেশে সরকারি নিষেধাজ্ঞার জেরে অধিকাংশ কসাইখানা বন্ধ। কাঁচামালের টানে কাজ বন্ধ ৩০০-র বেশি ট্যানারিতে। আর ব্যবসা বাঁচাতে এই ট্যানারিগুলির প্রথম পছন্দ পশ্চিমবঙ্গ। তার প্রধান কারণ, কাঁচামালের যথেষ্ট জোগান।

লেদার এক্সপোর্ট কাউন্সিলের পূর্বাঞ্চলীয় কর্তা রমেশ জুনেজার দাবি, ২৫টি বড় ট্যানারি এ রাজ্যে পা রাখতে চায়। তারা জমি কিনে ট্যানারি চালু করতে আগ্রহী। অনেক সংস্থা আবার রাজি এ রাজ্যের ধুঁকতে থাকা ট্যানারি অধিগ্রহণেও। তাঁর মতে, শেষমেশ এই সমস্ত সংস্থা সত্যিই এখানে পা রাখলে রাজ্য থেকে রফতানি এক লাফে বেড়ে যাবে। এখন যার পরিমাণ ৭,০০০ কোটি টাকার মতো।

আগ্রহ


দেশে মোট ট্যানারি ১,৫৪৮টি


উত্তরপ্রদেশে ৩৬৩টি


কাঁচা চামড়ার অভাবে সেখানে মার খাচ্ছে ব্যবসা


পশ্চিমবঙ্গে মোট ২,০০০ কোটি ঢালতে চায় ২৫টি বড় ট্যানারি


২০মে সংস্থাগুলির বৈঠক শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে

সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, বৈঠকে থাকবেন কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টসের চেয়ারম্যান মুখতারুল আমিন। যিনি দেশের প্রথম সারির চর্মপণ্য নির্মাতা সুপার হাউসের কর্ণধারও। এ ছাড়াও লগ্নির জন্য কথা বলতে আসছে জ্যাম-জ্যাম ট্যানার্স, মডেল ট্যানার্স, রহমান ইন্ডাস্ট্রিজ, ফ্লোরেন্স শ্যুজ, নাজ এক্সপোর্টস ইত্যাদি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রাজ্যে বিনিয়োগে আগ্রহী এই সমস্ত সংস্থার মোট ব্যবসা ২,৫০০ কোটি টাকার বেশি। সম্ভাব্য গড় লগ্নির অঙ্ক ৮০ কোটি। জমি ও সংশ্লিষ্ট ছাড়পত্র পেলে, শীঘ্রই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে পারে, মনে করছে চর্মশিল্প মহল।

জুনেজা জানান, উত্তরপ্রদেশের চর্ম ব্যবসায়ীরা এ রাজ্যে শিল্পতালুকে কারখানা গড়তে চান। রাজ্যের একমাত্র চর্মনগরী বানতলায়। সেখানে এখন ২০২ একরে ৩৩২টি কারখানা। তবে বানতলায় পরিকাঠামো উন্নত না-হলে, নতুন কারখানা চালু করা অসম্ভব। স্থানীয় চর্ম ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে রাজ্যের কাছে দরবারও করছেন। সম্প্রতি একটি পরিকল্পনাও নিয়েছে রাজ্য। বর্জ্য পরিশোধন উন্নত করার পাশাপাশি জল, রাস্তা, নিকাশির মতো পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ করেছে ২০০ কোটি টাকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Leather industry State Government
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE