E-Paper

সেবি-র দুর্নাম করা ঠিক নয়: সুপ্রিম কোর্ট

আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারের দাম কৃত্রিম ভাবে বাড়ানো ও বেআইনি লেনদেনের মতো অভিযোগ তুলেছিল আমেরিকার শেয়ার সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ। সেই সব অভিযোগ নিয়েই তদন্ত করছে সেবি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:৫৭
An image of SEBI

সেবি। —ফাইল চিত্র।

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে যা বলা হয়েছে, শুধু তাকেই ‘বাস্তব’ বলে ধরে নেওয়া যাবে না। আবার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-কে সন্দেহের চোখে দেখার মতো কোনও প্রমাণও তাদের কাছে নেই। শুক্রবার এই বার্তা দিয়েই সুপ্রিম কোর্ট বলল, বাজার নিয়ন্ত্রকের ‘দুর্নাম’ করার কারণ নেই। আগামী দিনে বাজারে অস্থিরতার কারণে লগ্নিকারীদের যাতে সম্পদ খোয়াতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে সেবি কী করার কথা ভাবছে জানতে চাওয়ার পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, তাদের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়তে বলা ঠিক হবে না। কারণ সেই নির্দেশ দেওয়ার মতো কোনও তথ্য আদালতের কাছে নেই।

আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারের দাম কৃত্রিম ভাবে বাড়ানো ও বেআইনি লেনদেনের মতো অভিযোগ তুলেছিল আমেরিকার শেয়ার সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ। সেই সব অভিযোগ নিয়েই তদন্ত করছে সেবি। তবে শীর্ষ আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করতে না পারায় আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেবি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। শুক্রবার এই সমস্ত মামলারই শুনানি ছিল। যার রায়দান স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

আদালত বলেছে, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টকে ‘বাস্তব’ এবং তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যগুলিকে তারা ‘ধ্রুব সত্য’ বলে ধরে নিতে বলতে পারে না সেবিকে। তাই তাদের তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেবি-র বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের উপায় নেই। সেবি যা করেছে, তাকে সন্দেহ করার মতো প্রমাণই বা কোথায়? তাই তাদের ‘দুর্নাম’ করা ঠিক নয়।

অগস্টে সেবি বলেছিল, আদানিদের বিরুদ্ধে ২৪টি বিষয়ের মধ্যে ২২টির তদন্ত শেষ। বাকি দু’টির ক্ষেত্রে কর ফাঁকির স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত দেশগুলি থেকে তথ্য আসার অপেক্ষা। আজও তা-ই বলেছে সেবি। জটিলতার কথা তুলে সময়ে তদন্ত শেষ করার বিষয়টি হাতে নেই বলেও জানিয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক মামলাতেই শেয়ার দরে দোলাচলের ক্ষেত্রে লগ্নিকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য নিয়ন্ত্রকটি কী ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এ জন্য কঠোর নিয়ম আনার কথা ভাবা হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট। জানতে চায়, গোপন খবর জেনে শেয়ার বিক্রির
মাধ্যমে মুনাফার (শর্ট সেলিং) প্রমাণ মিলেছে কি না। হিন্ডেনবার্গ ছাড়া ওসিসিআরপি-র রিপোর্টে আদানিদের বিরুদ্ধে ঘুরপথে শেয়ার দর বাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। এর প্রমাণ মিলেছে কি না, জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট।

উত্তরে সেবি-র তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার দাবি, এ ধরনের ঘটনা সামনে এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ওসিসিআরপি-র প্রসঙ্গে বিদেশি রিপোর্টকে দিয়ে ভারতের নীতিকে প্রভাবিত করার অভিযোগও করেছেন তিনি। ভূষণের অবশ্য দাবি, সেবির ভূমিকা ‘সন্দেহজনক’ নানা কারণে। বিশেষত ২০১৪ সালেই যেহেতু বহু তথ্য তাদের হাতে ছিল। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘আমাদের কাছে সেবির কাজে সন্দেহ করার মতো কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই।’’


(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Sebi Supreme Court of India Adani Group Gautam Adani Hindenburg Report

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy