সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি জানিয়েছে, আধারের ভিত্তিতে গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর যাচাইয়ের নির্দেশ তারা দেয়নি। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি এখন সেই কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখবে টেলিকম সংস্থাগুলি? জবাবে শিল্পের দাবি, কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতরের (ডট) নির্দেশ মেনে চলাই নিয়ম। ফলে যাচাইয়ের নির্দেশ যেহেতু তাদের, তাই তা বন্ধের কোনও সম্ভাবনা এখনই দেখছে না তারা। কারণ, তেমন কোনও নতুন নির্দেশ ডটের কাছ থেকে আসেনি।
টেলিকম শিল্পের সংগঠন সিওএআইয়ের বক্তব্য, তারা আধার মামলার সঙ্গে যুক্ত নয়। তাই আধারের ভিত্তিতে মোবাইল নম্বর যাচাইয়ের নির্দেশ ঠিক না ভুল, কিংবা ডট আদালতের নির্দেশ বুঝতে ভুল করেছিল কি না, এ সব নিয়ে মন্তব্য করবে না তারা। তবে ‘টেলিগ্রাফ আইন-১৮৮৫’ অনুযায়ী ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সংস্থাগুলি ডটের বিধি মানতে দায়বদ্ধ। আর সেই অনুসারেই ই-কেওয়াইসির শর্ত পূরণ করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টে আধার নিয়ে মামলা চলায় আগেই মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধারের বাধ্যতামূলক সংযুক্তির শর্ত শিথিল করেছে ডট। সময়সীমাও অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়েছে। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের সংযুক্তির বার্তা দিচ্ছে সংস্থাগুলি।
গোড়ায় রান্নার গ্যাসের ভর্তুকির জন্য আধার জরুরি হলেও পরে ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন পরিষেবার ক্ষেত্রে তা বাধ্যতামূলক করে কেন্দ্র। পাশাপাশি মোবাইল নম্বরের গ্রাহকদের পরিচয়ের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। তাতে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ আদালত গ্রাহকদের পরিচয়পত্রের সত্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দেয়।
সেই সময় আদালতে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতাগি আধারের মাধ্যমে মোবাইল নম্বর যাচাইয়ের ব্যবস্থা চালুর কথা জানান। সেই ব্যবস্থাই চলছিল।
সর্বোচ্চ আদালত সম্প্রতি জানায়, মোবাইলের সঙ্গে আধার সংযুক্তির নির্দেশ আদালত কখনও দেয়নি। গ্রাহকদের পরিচয় যাচাইয়ের দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy