পণ্য-পরিষেবা কর বা জিএসটি-র বোঝা আরও কমিয়ে আনার পক্ষে রায় দিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিগোষ্ঠী। রবিবার তাদের দ্বিতীয় বৈঠকে মূলত কম্পোজিশন প্রকল্পের আওতায় করের হার কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে তারা। এর পর তাদের সুপারিশ খতিয়ে দেখা হবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির পৌরোহিত্যে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে। ১০ নভেম্বর গুয়াহাটিতে ওই বৈঠক হওয়ার কথা।
এ দিকে, জিএসটি নেটওয়ার্ক (জিএসটিএন)-এর সিইও প্রকাশ কুমার জানিয়েছেন, কম্পোজিশন প্রকল্পে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের রিটার্ন জমা নেওয়া শীঘ্রই শুরু হবে। এর জন্য নির্ধারিত জিএসটিআর-৪ ফর্মটি জিএসটিএন পোর্টাল-এ পাওয়া যাবে।
অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে মন্ত্রিগোষ্ঠীর প্রস্তাব হল, উৎপাদনকারী ও রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে কম্পোজিশন প্রকল্পে করের হার ১ শতাংশে নামিয়ে আনা। এখন তা যথাক্রমে ২ ও ৫%।
পাশাপাশি, ব্যবসায়ীরা এই প্রকল্প বেছে নিলে তাঁদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার পক্ষে মন্ত্রিগোষ্ঠী। এখন তাঁদের সবাইকেই ১% হারে জিএসটি দিতে হয়।
প্রসঙ্গত, যে-সব উৎপাদনকারী, রেস্তোরাঁ ও ব্যবসায়ী একটি রাজ্যের সীমানার মধ্যে ব্যবসা করেন ও যাঁদের ব্যবসা বছরে ১ কোটি টাকার নীচে তাঁরাই কম্পোজিশন স্কিমে নথিভুক্ত হতে পারেন। তাঁরা প্রতি মাসে রিটার্ন দাখিল না-করে ত্রৈমাসিক রিটার্ন জমার সুবিধা পাবেন। তবে তাঁরা ওই কর ক্রেতার কাছ থেকে আদায় করতে পারবেন না, কাঁচামাল খাতে আগে মেটানো কর ফেরতের সুবিধাও পাবেন না। তবে কম্পোজিশন প্রকল্পের করদাতাকে বিশদে লেনদেনের সব তথ্য রাখতে হবে না।
এই প্রকল্পে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে দু’ধরনের কর চালুর প্রস্তাব দিয়েছে মন্ত্রিগোষ্ঠী। তাদের সুপারিশ, করের আওতায় পড়ছে না, এমন সব পণ্য থেকে ব্যবসার আয়কে যাঁরা কর জমার জন্য দেখাতে চান না, তাঁদের জন্য জিএসটি-র হার ১ শতাংশে বেঁধে দেওয়া হোক। অন্য দিকে, যাঁরা পুরো ব্যবসার উপর কর দেবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ০.৫% কর বসানোর সুপারিশ করেছে গোষ্ঠী।
অন্য দিকে কম্পোজিশন প্রকল্পের বাইরে থাকা করদাতাদেরও সুবিধা দিতে বলেছে তারা। এসি ও সাধারণ রেস্তোরাঁর উপর করের হার সমান রাখতে বলেছে মন্ত্রিগোষ্ঠী। তাদের প্রস্তাব ওই হার নামিয়ে আনতে হবে ১২ শতাংশে। এখন এসি রেস্তোরাঁর জন্য তা ১৮ শতাংশ, অন্যত্র ১২ শতাংশ।
যে-সব হোটেলে ঘর ভাড়া দিনে ৭৫০০ টাকার বেশি, তাদের উপর সমান ১৮% কর বসাতে বলেছে তারা। পাঁচ তারা হোটেলের জন্য আলাদা ২৮ শতাংশ হার তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন রাজ্যে যাঁদের ব্যবসা ছড়িয়ে রয়েছে, সেই সব করদাতাকেও কম্পোজিশন প্রকল্পের আওতার আনতে বলেছে মন্ত্রিগোষ্ঠী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy