—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্ব অর্থনীতির ক্রমাগত গতি কমার বিরূপ প্রভাব পড়ছে ভারতীয় অর্থনীতির উপরে। গত কয়েক মাসে কমেছে আমদানি-রফতানি। কৃষিতে ফলন মার খাওয়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে অনিয়মিত বর্ষা। মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার অনেকখানি বাড়ালেও, তার সুফল পেতে দেরি হচ্ছে— মূলত এই সমস্ত কারণ তুলে ধরেই সোমবার চলতি অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখল মূল্যায়ন সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস। যা কেন্দ্র এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ৬.৫% অনুমানের তুলনায় কম। তবে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের বাড়তে থাকা দাম নিয়ে সতর্ক করে তারা বাড়িয়ে দিয়েছে মূল্যবৃদ্ধির পূর্বাভাস।
ভারতীয় অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী হলেও এসঅ্যান্ডপি রিপোর্টে বলেছে, মূল্যবৃদ্ধির উপরে চাপ বাড়াবে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের বাড়তে থাকা দাম। যা আজ ব্যারেল প্রতি ৯৩ ডলারের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। ফলে সারা বছরের খুচরো মূল্যবৃদ্ধি থাকতে পারে ৫.৫ শতাংশের কাছাকাছি। আগে ওই হার ৫% হতে পারে বলে জানিয়েছিল তারা। যদিও একই সঙ্গে সংস্থার আশ্বাস, আনাজের দাম চড়লেও তার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
গত অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৭.২%। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকেও তা ৭.৮% ছোঁয়। এসঅ্যান্ডপি জানিয়েছে, এমনিতে অর্থনীতি মোটের উপরে ঠিক দিকেই এগোচ্ছে। সাধারণ মানুষ খরচ বাড়াচ্ছেন। মূলধনী খরচ বাড়াচ্ছে সরকারও। কিন্তু শ্লথ বিশ্ব অর্থনীতি, সুদ বৃদ্ধির প্রভাব পড়তে দেরি হওয়া এবং অনিয়মিত বর্ষার কারণে সেই অগ্রগতি বার বার ধাক্কা খাচ্ছে। ফলে আগের বছরের তুলনায় বৃদ্ধির হার কম হবে। তা নামতে পারে ৬ শতাংশে। তবে আগামী দুই অর্থবর্ষে কিছুটা বেড়ে ৬.৯% হতে পারে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছেঁটেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy