দশক শেষে খড়্গপুর ও ঝাড়গ্রামের কারখানায় উৎপাদন দ্বিগুণ করা এবং জামুরিয়া ও পুরুলিয়ায় দু’টি নতুন কারখানা তৈরির জন্য ছ’বছরে রাজ্যে ইস্পাত শিল্পে ২০,০০০ কোটি টাকা লগ্নির পরিকল্পনা করেছে রশ্মি গোষ্ঠী। পাশাপাশি, কাঁচামাল হিসেবে জরুরি নির্দিষ্ট মানের কয়লার জোগান নিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গে তিনটি কয়লা খনিও হাতে নিয়েছে তারা।
গোষ্ঠীর জয়েন্ট প্রেসিডেন্ট এল বি চৌরাসিয়া বলেন, ‘‘এখন বছরে ৫০ লক্ষ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে তা এক কোটি টনে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য।’’ তাঁর দাবি, উৎপাদন বাড়লে রাজ্যে আরও ৪০,০০০ কর্মসংস্থান হবে। কর, রয়্যালটি ও সেস বাবদ সরকারের আয়ও বাড়বে বছরে ১৫০০ কোটি টাকা।
উৎপাদন বাড়লে বাড়বে উন্নত মানের কয়লার চাহিদাও। নিজস্ব খনি থেকেই তার জোগান নিশ্চিত করতে কেন্দ্রের ডাকা নিলামে রাজ্যের তিনটি খনি কিনেছে রশ্মি গোষ্ঠী। দু’টি বীরভূমের কাগরা জয়দেবপুর কোল ব্লক এবং কাস্তা ইস্ট কোল ব্লক। একটি পশ্চিম বর্ধমানের জগন্নাথপুরে। চৌরাসিয়া জানান, এ জন্য খরচ হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)