চাষ থেকে আয় প্রত্যাশিত নয়। তাই বহু কৃষি শ্রমিক পাড়ি দিচ্ছেন অন্য কাজের খোঁজে। কেউ কেউ নাম লেখাচ্ছেন একশো দিনের কাজেও। এ সবের জেরে ক্রমশ কমছে কৃষি ক্ষেত্রে শ্রমিকের সংখ্যা। আর সেই ঘাটতিই নতুন বাজারের সম্ভাবনা তৈরি করছে ট্রাক্টর শিল্পের সামনে। শুধু লাঙল চালানোতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না এর ব্যবহার। বরং বীজ বোনা, ফসল তোলার মতো কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে ট্রাক্টরের সঙ্গে যুক্ত নানা বাড়তি যন্ত্র। ফলে বাড়ছে প্রথম থেকেই সেগুলি জুড়ে তৈরি ট্রাক্টরের চাহিদাও।
উপদেষ্টা সংস্থা ইক্রার সিনিয়র গ্রুপ ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত রায়ের বক্তব্য, গ্রামেই কৃষির বাইরে অন্য কাজে বাড়তি আয়ের সুযোগ বাড়ছে। তার উপরে অন্য রাজ্যে পরিকাঠামো, নির্মাণ কাজেও যাচ্ছেন অনেকে। তাঁর দাবি, ২০০৫-২০১৭ সালে কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৩.৯ কোটি। এর জেরে জমি মালিক ও চাষিরা আরও বেশি নতুন ধরনের ট্রাক্টরের উপর নির্ভর করছেন বলে দাবি গাড়ি শিল্পের।
মহীন্দ্রার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শুভব্রত সাহা বলেন, জমি তৈরি থেকে শুরু করে বীজ বোনা, শস্য রক্ষায় রাসায়নিক পদার্থ ছড়ানো থেকে ফসল তোলাতেও ব্যবহার হচ্ছে ট্রাক্টরের সঙ্গে জোড়া বাড়তি যন্ত্র। সোনালিকার এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর রামন মিত্তলেরও দাবি, ট্রাক্টরের সঙ্গে যুক্ত রোটাভেটর, কাল্টিভেটরের মতো যন্ত্রের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
কৃষিতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এমনিতেই যন্ত্রের ব্যবহার জরুরি। তার উপরে নতুন চাহিদা তৈরি হওয়ায় প্রথম থেকেই ট্রাক্টরের সঙ্গে যন্ত্র জুড়ে দিয়ে সংস্থাগুলি ব্যবসা বাড়াতে চাইছে বলে জানান সুব্রতবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy