প্রতীকী ছবি।
হোক না স্থানীয় লকডাউন বা বিক্ষিপ্ত বিধিনিধেষ। অধিকাংশ রাজ্যই যদি সে পথে হাঁটে, তবে অর্থনীতির উপরে তার প্রভাব জাতীয় লকডাউনের কাছাকাছি হবে— সেই আশঙ্কার কথা আগেই বলেছিলেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। তা যে কতটা সত্যি তা টের পাওয়া যাচ্ছে গত এক মাস ধরে ফের মাথা তুলতে থাকা বেকারত্বের হারে। উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৬ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে সারা দেশে ওই হার ছিল ১৩.৬২%। যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেশি। কয়েকটি রাজ্যে স্থানীয় লকডাউন শিথিল হওয়ায় শহরে কিছুটা কমলেও গ্রামে তা ফের ঊর্ধ্বমুখী। শুধু তা-ই নয়, এই নিয়ে টানা চার সপ্তাহ বেকারত্বের হার রয়েছে দুই অঙ্কে (সারণিতে)। মে মাসে কয়েকটি রাজ্যে ওই হার চোখ কপালে তোলার মতো। পশ্চিমবঙ্গে তা ১৯.৩%।
গত বছর লকডাউনে এপ্রিল ও মে মাসে বেকারত্ব ২০% ছাড়িয়েছিল। লকডাউন শিথিল হওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তা ধীরে ধীরে নামতে থাকে। কিন্তু এ দফায় করোনার দ্বিতীয় ঝড় আটকাতে রাজ্যগুলি স্থানীয় বিধিনিষেধের পথে হাঁটায় মে মাসের মাঝামাঝি তা পৌঁছয় ১০ শতাংশের উপরে। সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মাসে দেশে সেই হার ছিল ১১.৯%। যা মাথা তোলার প্রবণতা অব্যাহত ৬ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহেও। সেই সময়ে শহরে ওই হার ছিল ১৪.৪%। গ্রামাঞ্চলে তা ৯.৫৮% থেকে এক লাফে ১৩.২৭% হয়েছে।
সিএমআইই কর্তা মহেশ ব্যাস জানাচ্ছেন, দেশে ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে নিট কাজ কমেছে ২.৫৩ কোটি। যার ফলে এই চার মাসে বেকারত্বের হার প্রায় ৬.৩% বেড়েছে। এমনকি এই পরিস্থিতি কাজ খোঁজা বন্ধ করতেও বাধ্য করেছে বহু মানুষকে। তাঁর বক্তব্য, লকডাউন উঠলে হয়তো পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হল এই পর্বের বিধিনিষেধের আগেও কাজ কমা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy