চিনের সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধের সমাধান হয়নি। এরই মধ্যে ভারতীয় পণ্যের উপর থেকে আমদানি শুল্ক ছাড়ের সুবিধা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে আমেরিকা। এ বার ওয়াশিংটন জানাল, ভারত যদি বাণিজ্য সংক্রান্ত স্পষ্ট কোনও প্রস্তাব দেয়, তা হলে আলোচনার রাস্তা খোলা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যে সব দেশের সঙ্গে বড় বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে তাদের ব্যাপারে দু’টি নীতি নিয়েছে আমেরিকা। এক, আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ও নানা সুবিধা প্রত্যাহার করে চাপ বাড়ানো। দুই, তার পরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি তৈরির লক্ষ্যে দেশগুলিকে আলোচনার টেবিলে টেনে আনা। যেমন, চিনের সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি পৌঁছেছে ৩৭,৫০০ কোটি ডলারে। সে দেশের পণ্যেও চড়া শুল্ক চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরে শুরু হয়েছে বাণিজ্য বৈঠক। এ বার ভারতের উপরেও চাপ বাড়াচ্ছে তারা। লক্ষ্য, এ দেশে তাদের পণ্যের রফতানি আরও বাধাহীন করা।
আমেরিকার বিদেশ দফতরের এক পদস্থ অফিসারের বক্তব্য, ‘‘ভারতের বৃহত্তম রফতানি বাজার এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সহযোগী হিসেবে আমরা গর্বিত। কিন্তু এখানে নিয়ন্ত্রণ বিধি যে রকম কঠিন, তাতে মার্কিন সংস্থাগুলির ব্যবসা করতে সমস্যা হচ্ছে। বাণিজ্যই দু’দেশের সম্পর্কে প্রধান হতাশার জায়গা। তবে ভারত প্রয়োজনীয় প্রস্তাব দিলে আলোচনার রাস্তা খোলা।’’
আমেরিকার অভিযোগ, গত এক বছর নয়াদিল্লির সঙ্গে এ নিয়ে কথা চলছে। কিন্তু স্পষ্ট আশ্বাস পাওয়া যায়নি। তার পরেই কয়েকটি ভারতীয় পণ্যের বিনা শুল্কে আমেরিকার বাজারে প্রবেশের সুবিধা (জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রফারেন্স বা জিএসপি) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর নভেম্বরেও একই রকম কড়া পদক্ষেপ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তুলে নেওয়া হয়েছিল অন্তত ৫০টি পণ্যের বিনা শুল্কে আমেরিকায় রফতানির সুযোগ।
আমেরিকা অবশ্য স্বীকার করেছে, গত বছর অশোধিত তেলের রফতানি বাড়ায় ভারতের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে প্রায় ৭.১%। তবে বেশ কয়েকটি বিষয়ে সমাধানের প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy