শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে বিজয় মাল্য নিজের সমস্ত সম্পত্তির তথ্য জমা দেননি বলে সোমবার ফের অভিযোগ জানাল ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলি। এ দিন সুপ্রিম কোর্টে ব্যাঙ্কগুলির হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগী দাবি করেন, ইচ্ছে করে সম্পত্তির তথ্য গোপন করেছেন কিংগ্ফিশার কর্তা। এমনকী ফেব্রুয়ারিতে ডিয়াজিও-র কাছ থেকে ৪ কোটি ডলার পাওয়ার মতো তথ্যও গোপন করা হয়েছে। রোহতগীর আরও দাবি, মাল্যকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে ছাড় দেওয়া হয়নি। কিন্তু তিনি তা সত্ত্বেও আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ মানেননি। তাই আগামী শুনানিতে তাঁর বক্তব্য শোনার প্রয়োজনই নেই।
অ্যাটর্নি জেনারেলের এই দাবি অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন মাল্যের আইনজীবী। বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফ এবং বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের বেঞ্চের সামনে মাল্যের তরফে উপস্থিত সি এস বৈদ্যনাথনের দাবি, আগের নির্দেশ ফিরিয়ে নিতে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন তাঁরা। কোনও ভাবেই আদালত অবমাননা করা হয়নি। মাল্যের সম্পত্তির বিবরণ জমা দেওয়া হয়েছে। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তত দিনের মধ্যে কিংগ্ফিশার কর্তার আবেদন নিয়ে ব্যাঙ্কগুলিকে উত্তর দিতে বলেছে তারা।
প্রসঙ্গত, এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অবমাননার অভিযোগে মাল্যের বিরুদ্ধে জুলাইয়ে ফের আদালতে যায় স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ১৭টি ঋণদাতা ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়াম। অভিযোগ ছিল, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও, মাল্য সম্পত্তির তথ্য লুকিয়েছেন। দিয়েছেন ভুল তথ্য। সেই মামলায় তাঁকে নোটিসও পাঠায় শীর্ষ আদালত। কিন্তু মাল্য হাজিরা দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy