ন’হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্কঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে অবশেষে রফার পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিলেন বিজয় মাল্য।
বুধবার আইনজীবীর মাধ্যমে বিজয় মাল্য ও তাঁর তিন সংস্থা কিংগ্ফিশার এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজ হোল্ডিংস এবং কিংগ্ফিশার ফিনভেস্টের তরফে সুপ্রিম কোর্টে ৪ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্কঋণ ফেরতের প্রস্তাব দেওয়া হয়। স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে গড়া বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়ামকে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই টাকা মেটানোর কথা বলা হয়েছে। মুখ বন্ধ খামে দেওয়া এই প্রস্তাবে অবশ্য ৬৯০৩ কোটি টাকার ঋণ শোধের কথা বলা হয়েছে। মাল্য এবং তাঁর সংস্থাগুলির তরফে আইনজীবী সি এস বৈদ্যনাথন জানান, ওই ৪ হাজার কোটি টাকার উপরন্তু ২ হাজার কোটির বেশি টাকা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করা হবে। বিমানের ইঞ্জিন তৈরির একটি সংস্থার বিরুদ্ধে আনা ক্ষতিপূরণের মামলা জিতলে ওই বাড়তি টাকা ফেরাবেন তাঁরা। তবে এ ব্যাপারে কোনও সময়সীমা বেঁধে দেননি বৈদ্যনাথন।
স্টেট ব্যাঙ্ক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কনসোর্টিয়াম বুধবার এই রফা প্রস্তাব পেয়েছে। তবে এই বিবৃতিতে কোনও টাকার অঙ্ক উল্লেখ করা হয়নি। অন্য ঋণদাতাদের মধ্যে রয়েছে: পিএনবি, ব্যাঙ্ক অব বরোদা, কানাড়া ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক, ফেডারেল ব্যাঙ্ক, ইউকো ব্যাঙ্ক, দেনা ব্যাঙ্ক।
বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফ এবং আর এফ নরিম্যানকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলির জোটকে রফা প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখার জন্য এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে। বেঞ্চ বলেছে, ‘‘এই প্রস্তাব মানবেন, না বাতিল করবেন, তা আপনারাই ঠিক করুন।’’ এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানি ৭ এপ্রিল।
বিচারপতিরা এ দিন আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, মাল্য কোথায়? তিনি কি ভারতে ফিরেছেন? আইনজীবীরা জানান, গত ২ মার্চ ভারত ছাড়ার পর থেকে তিনি দেশে ফেরেননি। তবে মাল্য মঙ্গলবারই ভিডিও কনফারেন্সিং মারফত এই রফা প্রস্তাব দেন বলে তাঁর দাবি।
এক সময়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা কিংগ্ফিশার এয়ারলাইন্স বিপুল লোকসানে জেরবার হয়ে বন্ধ হয়ে যায় ২০১৩ সালে। কর বাকি পড়ায় বাতিল হয় তার লাইসেন্স। তার পর থেকেই ঋণদাতা ব্যাঙ্ক ও কর্মীদের কাছে সংস্থার বকেয়ার বহর বাড়ছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও ভালয় ভালয় টাকা না-মেটালে মাল্যের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy