Advertisement
E-Paper

খুচরো মূল্যবৃদ্ধি দু’বছরে সর্বনিম্ন, এক চুল বাড়ল শিল্পোৎপাদন

বৃদ্ধি নামমাত্র। আর, তাতেই খুশি শিল্পমহল। কারণ তিন মাসের খরা কাটিয়ে জানুয়ারিতেই ০.১% বেড়ে আশার আলো দেখাল শিল্পোৎপাদন। পাশাপাশি, আলু-পেঁয়াজের দাম কমার হাত ধরে মানুষের খরচের বোঝা কিছুটা লাঘব করে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৮.১%, যা গত ২৫ মাসের মধ্যে সবচেয়ে নীচে। জানুয়ারিতে তা ছিল ৮.৭৯%। গত তিন মাস যাবৎই খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি নিম্নমুখী।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৪ ০৪:০৮

বৃদ্ধি নামমাত্র। আর, তাতেই খুশি শিল্পমহল। কারণ তিন মাসের খরা কাটিয়ে জানুয়ারিতেই ০.১% বেড়ে আশার আলো দেখাল শিল্পোৎপাদন। পাশাপাশি, আলু-পেঁয়াজের দাম কমার হাত ধরে মানুষের খরচের বোঝা কিছুটা লাঘব করে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি ফেব্রুয়ারিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৮.১%, যা গত ২৫ মাসের মধ্যে সবচেয়ে নীচে। জানুয়ারিতে তা ছিল ৮.৭৯%। গত তিন মাস যাবৎই খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি নিম্নমুখী।

বুধবার প্রকাশিত এই দুই পরিসংখ্যানে অর্থনীতি নিয়ে রুপোলি রেখা দেখছে শিল্প ও শেয়ার বাজার মহল। তাদের মতে, আসন্ন লোকসভা নিবার্চনের আগে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে চলতি ২০১৩-’১৪ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকের আর্থিক বৃদ্ধির হারের উপর। সে ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার পরবর্তী ঋণনীতিতে সুদ কমাতে পারে বলেও তারা আশাবাদী। আগামী ১ এপ্রিল নতুন ঋণনীতি ঘোষিত হওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান সি রঙ্গরাজন বলেছেন, “শিল্পোৎপাদন প্রত্যাশা মাফিকই বেড়েছে। তবে ফেব্রুয়ারি-মার্চে কারখানার উৎপাদন আরও বাড়াটা প্রয়োজন।”

সেন্ট্রাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অর্গানাইজেশনের পরিসংখ্যান অনুসারে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম দশ মাসের হিসাব ধরলে শিল্পোৎপাদন কার্যত এক জায়গাতেই থমকে রয়েছে। ২০১২-’১৩ সালের একই সময়ে তা বেড়েছিল ১%। ২০১৩-র জানুয়ারিতেও শিল্পোৎপাদন বেড়েছিল ২.৫% হারে। এ দিকে ডিসেম্বরে শিল্পোৎপাদন ০.৬% কমার যে প্রাথমিক হিসাব দেওয়া হয়েছিল, তা সংশোধন করায় দাঁড়িয়েছে ০.১৬%।

প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর থেকেই টানা কমছে শিল্পোৎপাদন। বৃদ্ধি তো দূরের কথা, সরাসরি কমেছে উৎপাদন। তবে জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ ও খনন ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ার প্রভাবে ফের বাড়ার মুখ নিয়েছে শিল্পোৎপাদন। কিন্তু কারখানার উৎপাদন তলানিতেই রয়েছে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে জানুয়ারিতে উৎপাদন বেড়েছে ৬.৫%। খনন শিল্পে তা ০.৭%। তবে কারখানার উৎপাদন জানুয়ারিতেও পড়েছে ০.৭%। উল্লেখ্য, শিল্প বৃদ্ধির হার হিসাব করায় এই ক্ষেত্রের গুরুত্ব ৭৫%। এপ্রিল থেকে জানুয়ারির হিসাব ধরলে কারখানার উৎপাদন কমেছে ০.৪%।

খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ফেব্রুয়ারিতে মূলত কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম কমার জেরে। বুধবার প্রকাশিত ক্রেতার মূল্য সূচকের পরিসংখ্যান অনুসারে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি আগের মাসের ৯.৯% থেকে নেমে এসেছে ৮.৫৭ শতাংশে। শাক-সব্জির ক্ষেত্রে তা আগের মাসের প্রায় ২২% থেকে কমে হয়েছে ১৪.০৪%।

পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হারও গত জানুয়ারি মাসে নেমে এসেছে আট মাসে সবচেয়ে নীচে, ৫.০৫ শতাংশে। ফেব্রুয়ারির সরকারি পরিসংখ্যান শুক্রবার প্রকাশিত হওয়ার কথা।

shilpomahal price rise lowest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy